ইন্টারভিউ ছাড়াই ২৯ জনের নিয়োগ! দক্ষিণ দমদম পুরসভায় দুর্নীতির গন্ধ, তদন্তে ইডি

ইন্টারভিউ ছাড়াই ২৯ জনের নিয়োগ! দক্ষিণ দমদম পুরসভায় দুর্নীতির গন্ধ, তদন্তে ইডি

ED Investigation Update: দক্ষিণ দমদম পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ফের নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ২০২০ সালে একই দিনে ইন্টারভিউ ছাড়াই ২৯ জনকে নিয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, ওই বছর গ্রুপ সি ও ডি পদে ৩০৩টি নিয়োগ হয়েছিল বলে জানায় সিবিআই। ইডির দাবি, অর্থের বিনিময়েই হয়েছিল এই নিয়োগ। শুক্রবারই দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান নিতাই দত্ত এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা।

২০২০ সালে ইন্টারভিউ ছাড়াই নিয়োগ, সিবিআইয়ের চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য

সিবিআইয়ের চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে যে ২০২০ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় একই দিনে ইন্টারভিউ ছাড়াই ২৯ জনের নিয়োগ হয়েছিল। এছাড়া একই বছরে গ্রুপ সি ও ডি পদে মোট ৩০৩টি নিয়োগের কথাও প্রকাশ পায়। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বেআইনি বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের।

ইডির দাবি: অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ, চলছে অর্থের উৎস অনুসন্ধান

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দমদম পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির মূল কেন্দ্রে ছিল আর্থিক লেনদেন। প্রার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থের পরিমাণ ও উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন রুটে এই টাকা লেনদেন হয়েছে এবং কারা লাভবান হয়েছেন, তা জানতেই চলছে জোরকদমে তদন্ত।

পুর নিয়োগ প্রক্রিয়ার পেছনে অয়ন শীলের সংস্থা

এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিল অয়ন শীলের সংস্থা। পুর নিয়োগ দুর্নীতির মাথা হিসেবেই একাধিক তদন্তে উঠে এসেছে এই সংস্থার নাম। অভিযোগ, বেআইনি উপায়ে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও পরীক্ষা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করেছিল তারা।

দমদমে হানা, দমকলমন্ত্রীর অফিসেও তল্লাশি

শুক্রবার সকালে ইডির একাধিক দল অভিযান চালায়। দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান নিতাই দত্তের বাড়ি ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। জানা গিয়েছে, সুজিত বসুর অফিসে প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি অভিযান।

২০২০ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় একই দিনে ইন্টারভিউ ছাড়াই ২৯ জনের নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। আরও জানা গিয়েছে, গ্রুপ সি ও ডি পদে ৩০৩টি নিয়োগ হয়েছিল অর্থের বিনিময়ে। এই নিয়োগ দুর্নীতির অর্থ কোথায় গিয়েছে, তারই খোঁজে নামছে ইডি।

Leave a comment