ডাইনি সন্দেহে বিহারে ৭০ বছরের বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা, স্ত্রী গুরুতর আহত

ডাইনি সন্দেহে বিহারে ৭০ বছরের বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা, স্ত্রী গুরুতর আহত

বিহারের নওয়াদা জেলায় ডাইনি সন্দেহে জনতা ৭০ বছর বয়সী গয়া মাঝিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। স্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন, তার মাথা মুড়িয়ে চুন লাগানো হয়েছে এবং জুতো-চপ্পলের মালা পরানো হয়েছে।

নওয়াদা: বিহারের নওয়াদা জেলার হিসুয়া থানা এলাকায় মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট, ২০২৫) রাতে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। এখানে পাঁচু গড় মুসাহরি মহল্লায় জনতা ৭০ বছর বয়সী গয়া মাঝিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এবং তার স্ত্রীকে গুরুতরভাবে আহত করেছে। ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, মহল্লার লোকেরা তার স্ত্রীকে ডাইনি সন্দেহ করেছিল।

ঘটনাটি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, মহিলার মাথা মুণ্ডন করে চুন লাগানো হয় এবং তাকে ও তার স্বামীকে জুতো-চপ্পলের মালা পরিয়ে মহল্লায় ঘোরানো হয়। বলা হচ্ছে, জনতা তাদের শ্মশান ঘাটে জ্যান্ত জ্বালানোরও চেষ্টা করছিল।

ময়নাতদন্তের জন্য গয়া মাঝির মৃতদেহ নওয়াদা পাঠানো হয়েছে 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় মহল্লায় প্রচুর লোক উপস্থিত ছিল। ঘটনার খবর মঙ্গলবার রাতেই ডায়াল-১১২-তে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ভিড় দেখে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারেনি এবং সেখান থেকে চলে যায়।

বুধবার সকালে হিসুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ গয়া মাঝির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওয়াদা পাঠিয়েছে এবং আহত স্ত্রীকে হিসুয়া কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করেছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মহিলার অবস্থা গুরুতর।

মহিলাকে ডাইনি সন্দেহ এবং জ্যান্ত জ্বালানোর চেষ্টা

হিসুয়া থানার এসআই রুপা কুমারী জানিয়েছেন, মহল্লার লোকেরা মহিলাকে ডাইনি সন্দেহ করে তাকে ও তার স্বামীকে बुरी तरहভাবে মারধর করেছে। দু'জনকে নগ্ন করে অপমান করা হয়েছে এবং জ্যান্ত জ্বালানোর চেষ্টাও করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, এটি अंधविश्वास এবং सामूहिक हिंसा-র একটি স্পষ্ট উদাহরণ। পুলিশ তদন্ত করছে এবং ঘটনাস্থলের आसपास के लोगों से बयान दर्ज করেছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, তবে পুলিশ অভিযুক্তদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।

শ্মশান घाट থেকে মৃতদেহ ও আহত মহিলা উদ্ধার

ঘটনার সময় মৃতদেহ ও আহত মহিলাকে শ্মশান ঘাটের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত এবং আহত মহিলাকে দেখে आसपास के लोग আঁতকে উঠেছেন। এই ঘটনা শুধু পরিবারের জন্য নয়, पूरे इलाके में ভয় এবং असुरक्षा-র অনুভূতি তৈরি করেছে।

পুলিশ এলাকায় सुरक्षा বাড়িয়েছে और दोषियों को जल्द गिरफ्तार करने का भरोसा দিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, सामूहिक हिंसा और अंधविश्वास-এর বিরুদ্ধে কঠোর আইন लागू করা হবে।

Leave a comment