ফতেহপুরে জন্মাষ্টমীর আগে বিতর্কিত মাজারের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক পোস্ট ভাইরাল হওয়া এবং লোকজনের জড়ো হওয়ার চেষ্টার পর প্রশাসন তিনটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (FIR) দায়ের করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ও ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
Uttar Pradesh: জন্মাষ্টমী ২০২৫-এর আগে ফতেপুরের বিতর্কিত মাজারের আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উস্কানিমূলক পোস্ট ভাইরাল হওয়া এবং লোকজনকে ওই স্থানে জড়ো হওয়ার জন্য প্ররোচিত করার পর প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলিশ মহম্মদ মুজাফফর ইমরান, অখণ্ড প্রতাপ সিং এবং অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর দায়ের করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী, প্রাদেশিক সশস্ত্র বাহিনী (Provincial Armed Constabulary) এবং সংরক্ষিত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলে তিন স্তরের ব্যারিকেড বসিয়ে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ
ফতেপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসএইচও) তারকেশ্বর রায় জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে মহম্মদ মুজাফফর ইমরান এবং অখণ্ড প্রতাপ সিংকে অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইমরানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ১৫৩ এবং ৩৫৩ ধারার পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি আইনের (IT Act) ৬৬ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, অখণ্ড প্রতাপ সিংয়ের বিরুদ্ধে আইপিসির ১৯৬, ৩৫৩ এবং আইটি আইনের ৬৬ ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাত পরিচয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তৃতীয় এফআইআরটি আইপিসি ১৯১, ৩৫৩ এবং আইটি আইনের ৬৬ ধারার অধীনে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
মাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নোটিশ জারি করেছে প্রশাসন
জেলা প্রশাসন মাজারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি, নেতা এবং উভয় সম্প্রদায়ের প্রবীণ সদস্যদের নোটিশ জারি করে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার কঠোর নির্দেশ দিয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, কোনো অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত হওয়া যাবে না এবং তাদের সমর্থকদেরও কোনো উস্কানিমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত রাখতে হবে।
কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, উস্কানিমূলক উপাদান ছড়ানোর অভিযোগে যে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হল জন্মাষ্টমীর সময় আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধ করা।
জন্মাষ্টমীতে নিরাপত্তা ও ব্যারিকেডের ব্যবস্থা
১৬ই আগস্ট জন্মাষ্টমীর দিনে হিন্দু সংগঠনগুলির কীর্তন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনার কারণে প্রশাসন তিন স্তরের ব্যারিকেড ও অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছে। প্রাদেশিক সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী এবং সংরক্ষিত বাহিনীকেও নিরাপত্তায় নিযুক্ত করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, সমাধিস্থল সংশ্লিষ্ট সমস্ত অনুষ্ঠান, শোভাযাত্রা এবং বিক্ষোভের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।