প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের কপালের ক্যান্সারযুক্ত টিস্যু অপসারণ, মোহস সার্জারি সফল

প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের কপালের ক্যান্সারযুক্ত টিস্যু অপসারণ, মোহস সার্জারি সফল

আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন Mohs সার্জারি করিয়েছেন, যার মাধ্যমে তাঁর কপাল থেকে ক্যান্সারযুক্ত টিস্যু অপসারণ করা হয়েছে। তিনি আগেও ত্বকের ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের সম্মুখীন হয়েছেন। বাইডেন পরিবারের উপর ক্যান্সারের গভীর প্রভাব রয়েছে।

Joe Biden: আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সম্প্রতি ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ মোহস সার্জারি করিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ার অধীনে, ডাক্তাররা তাঁর কপাল থেকে ক্যান্সারযুক্ত টিস্যু স্তর-পর্যায়ে সরিয়ে দিয়েছেন এবং নিশ্চিত করেছেন যে কোনও ক্যান্সার কোষ অবশিষ্ট নেই। বাইডেনের মুখপাত্র কেলি স্কালি বৃহস্পতিবার এই খবর নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন যে সার্জারিটি সফল হয়েছে।

এর আগে 'ইনসাইড এডিশন' নামে একটি মিডিয়া আউটলেট একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল, যেখানে বাইডেনকে ডেলাওয়্যারের একটি গির্জা থেকে কপালে একটি তাজা ক্ষত সহ বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছিল। এই ভিডিওটি প্রকাশের পরেই এই তথ্যটি জনসমক্ষে আসে যে তিনি Mohs Surgery করিয়েছেন।

Mohs Surgery কী

Mohs Surgery হল ত্বকের ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি। এতে ডাক্তাররা ক্যান্সারযুক্ত অংশটি স্তর-পর্যায়ে সরিয়ে ফেলেন এবং প্রতিটি স্তর মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করেন। যতক্ষণ না কোনও ক্যান্সার কোষ উপস্থিত থাকে, এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে এবং শেষে শুধুমাত্র সুস্থ ত্বকই অবশিষ্ট থাকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এই পদ্ধতিটি ক্যান্সারকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে এবং রোগীকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সুরক্ষিত রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। এই কারণেই এটিকে ত্বকের ক্যান্সার চিকিৎসার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি হিসাবে গণ্য করা হয়।

বাইডেন আগেও ক্যান্সারের সাথে লড়াই করেছেন

জো বাইডেনের ক্যান্সারের সাথে লড়াই নতুন নয়। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন তিনি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় ডাক্তাররা সার্জারির মাধ্যমে Basal Cell Carcinoma নামক ত্বকের ক্যান্সারটি সরিয়ে দিয়েছিলেন। এটি ক্যান্সারের একটি সাধারণ ধরণ, তবে সময়মতো চিকিৎসা না পেলে এটি গুরুতর রূপ নিতে পারে। মার্চ ২০২৩ সালে, বাইডেনের কার্যালয় থেকে আরও জানানো হয়েছিল যে তাঁর প্রোস্টেট ক্যান্সারের একটি আক্রমণাত্মক রূপ রয়েছে, যা হাড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করা হয়।

বাইডেন পরিবারের উপরও ক্যান্সারের গভীর প্রভাব

বাইডেন পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এই গুরুতর রোগের সাথে লড়াই করছে। তাঁর পুত্র বিউ বাইডেন ব্রেন টিউমারে মারা গিয়েছিলেন, যা তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত আঘাত ছিল। তাঁর স্ত্রী জিল বাইডেনও দুবার সার্জারি করিয়েছেন, যেখানে ক্যান্সারযুক্ত টিউমারগুলি অপসারণ করা হয়েছিল। এভাবে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই বাইডেন পরিবারের জন্য কেবল একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়, বরং কয়েক দশক ধরে চলে আসা একটি কঠিন বাস্তবতা।

Leave a comment