गरुड़ पुराण অনুসারে, বলাৎকারকে সবচেয়ে ঘৃণ্য পাপ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এর জন্য মৃত্যুর পর ভয়ানক শাস্তির বিধান রয়েছে। শাস্ত্র মতে, বলাৎকারকারীকে রৌরব, মহারৌরব এবং তামিস্র নরকে যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। ধর্মগ্রন্থ এও স্পষ্ট করে যে, বলাৎকারকারী ব্যক্তি স্বর্গের অধিকারী হতে পারে না এবং তার সমস্ত পুণ্য নষ্ট হয়ে যায়।
Garuda Purana: ধর্মীয় গ্রন্থ গरुड़ पुराण অনুসারে, বলাৎকারকারীকে কেবল সামাজিক অপরাধী হিসেবেই দেখা হয় না, বরং তাকে মহাজাগতিক ব্যবস্থার বিরোধী হিসেবে গণ্য করা হয়। মৃত্যুর পর তাদের রौरव, মহারৌরव এবং তামিস্র নরকে ভয়ানক যন্ত্রণা দেওয়া হয়। এই শাস্তি অপরাধের গুরুত্বকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কতটা গুরুতর মনে করা হয়, তা নির্দেশ করে। শাস্ত্র স্পষ্টভাবে বলে যে, এই ধরনের ব্যক্তিরা স্বর্গের অধিকারী হতে পারে না এবং তাদের কৃত সমস্ত পুণ্য নষ্ট হয়ে যায়।
বলাৎকারকারী নরকে কেমন শাস্তি পায়
- রौरव नरक: পাপীকে জ্বলন্ত লোহার চুল্লিতে নিক্ষেপ করা হয়। যমদূত তাকে বারবার বর্শা ও ত্রিশূল দিয়ে আঘাত করে। মৃত্যুর পর তাকে আবার জীবিত করে দগ্ধ করা হয়।
- মহারৌরব नरक: বলাৎকারকারীকে আগুন ও কণ্টকাকীর্ণ গর্তে নিক্ষেপ করা হয়, যেখানে তার দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
- তামিস্র नरक: পাপীকে অন্ধকার গর্তে ফেলে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। সে আর্তনাদ করে, কিন্তু কেউ শোনে না।
- অন্যান্য যন্ত্রণা: শরীরকে গরম লোহার রড দিয়ে দাগা হয়, গলায় শিকল বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বারবার কাটা ও জোড়া হয়, যাতে যন্ত্রণা নিরন্তর বজায় থাকে।
কেন এই পাপকে সবচেয়ে বড় বলে মনে করা হয়
বলাৎকারকে কেবল সামাজিক অপরাধ হিসেবেই নয়, বরং ধর্ম ও মহাজাগতিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হিসেবে দেখা হয়। গरुड़ पुराण-এ এটিকে অত্যন্ত ভয়াবহ পাপ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। শাস্ত্র স্পষ্টভাবে বলে যে, যে ব্যক্তি এই অপরাধের কথা ভাবে বা এটি করে, সে কেবল সমাজের জন্যই নয়, নিজের আত্মার জন্যও বিপজ্জনক। তাই ধর্ম ও সমাজ উভয়ই নারীর সম্মানকে মানবতা ও মোক্ষের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করে।
FAQs
Q1: বলাৎকারকারীর কি প্রায়শ্চিত্ত সম্ভব?
A: শাস্ত্র এটিকে মহাপাপ হিসেবে গণ্য করে। প্রায়শ্চিত্ত অত্যন্ত কঠিন এবং সাধারণত নরকবাস নিশ্চিত।
Q2: গरुड़ पुराण-এ কতগুলি নরকের বর্ণনা আছে?
A: প্রায় ২৮টি প্রধান নরকের উল্লেখ আছে, যার মধ্যে রौरव, তামিস্র এবং মহারৌরव বিশেষভাবে পাপীদের জন্য বর্ণিত হয়েছে।
Q3: বলাৎকারকারী কি স্বর্গে যেতে পারে?
A: না, ধর্মশাস্ত্র স্পষ্টভাবে বলে যে, এই ধরনের পাপী স্বর্গের অধিকারী হতে পারে না।