বিহার নির্বাচন: ভোটগ্রহণের আগে মুঙ্গেরে জন সুরাজ পার্টির প্রার্থী বিজেপিতে, নির্বাচনী সমীকরণে রদবদল

বিহার নির্বাচন: ভোটগ্রহণের আগে মুঙ্গেরে জন সুরাজ পার্টির প্রার্থী বিজেপিতে, নির্বাচনী সমীকরণে রদবদল
সর্বশেষ আপডেট: 3 ঘণ্টা আগে

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে মুঙ্গের বিধানসভা কেন্দ্রে বড় ধরনের রাজনৈতিক রদবদল দেখা গেছে। জন সুরাজ পার্টির প্রার্থী সঞ্জয় কুমার সিং বুধবার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-তে যোগ দিয়েছেন।

মুঙ্গের: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণের ঠিক একদিন আগে প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টি (Jana Suraj Party) বড় ধাক্কা খেয়েছে। দলের মুঙ্গের বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সঞ্জয় কুমার সিং হঠাৎ করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-তে যোগ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের ফলে নির্বাচনী সমীকরণে পরিবর্তনের সম্ভাবনা বেড়েছে এবং রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

সঞ্জয় কুমার সিং এনডিএ প্রার্থী কুমার প্রণয়ের উপস্থিতিতে বিজেপির সদস্যপদ গ্রহণ করেছেন। তিনি তার সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করে বলেছেন যে, এখন তিনি বিজেপি প্রার্থী কুমার প্রণয়ের সমর্থনে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন। প্রথম দফার ভোটগ্রহণের ঠিক আগে তার এই সিদ্ধান্ত দল এবং আঞ্চলিক রাজনীতি উভয়ের জন্যই একটি বড় ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

বিজেপির পক্ষ থেকে স্বাগত

বিজেপি প্রার্থী কুমার প্রণয় সঞ্জয় কুমার সিংকে দলে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তার যোগদানে বিজেপির সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে। মুঙ্গেরে এনডিএ-র জয় নিশ্চিত। এই পদক্ষেপ স্থানীয় রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আনার পাশাপাশি বিজেপির সমর্থনকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে ভোটগ্রহণের ঠিক আগে এ ধরনের রদবদল বিজেপির জন্য নির্বাচনী কৌশলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। 

মুঙ্গের বিধানসভা কেন্দ্রে জন সুরাজ পার্টির ভোটব্যাঙ্ক আগে থেকেই শক্তিশালী ছিল, এবং সঞ্জয় কুমার সিংয়ের বিজেপিতে যোগদানের ফলে বিজেপির জন্য এই ভোটব্যাঙ্ক সহজলভ্য হতে পারে।

নির্বাচনী সমীকরণে পরিবর্তন

সঞ্জয় কুমার সিংয়ের বিজেপিতে যোগদানের পর মুঙ্গের বিধানসভা আসনের নির্বাচনী সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে। তিনি বলেছেন যে তিনি এলাকায় স্থানীয় সংগঠন এবং ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে জন সুরাজ পার্টির প্রার্থীর বিজেপিতে যোগদান ভোটকে প্রভাবিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে, কারণ তার সমর্থক এবং স্থানীয় ভোটাররা এখন বিজেপির দিকে ঝুঁকতে পারেন।

প্রশান্ত কিশোরের দল, যা বিহারে তৃতীয় ফ্রন্ট হিসেবে রাজনৈতিক মঞ্চে আবির্ভূত হয়েছে, এর জন্য এই ধাক্কা সময় এবং কৌশল উভয় দিক থেকেই চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনের ঠিক আগে একজন প্রধান প্রার্থীর দল ত্যাগ জনমানুষের আস্থা এবং সংগঠনের শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।

Leave a comment