কিস্তওয়াড়ের ছাত্রু এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনী জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে এলাকা ঘিরে ফেলে। তল্লাশির সময় উভয় পক্ষ থেকে গুলি বিনিময় শুরু হয়। সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে এবং অভিযান এখনও চলছে।
জম্মু-কাশ্মীর: জম্মু-কাশ্মীরের কিস্তওয়াড় জেলার ছাত্রু এলাকায় বুধবার সকালে নিরাপত্তাবাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এই অভিযান শুরু হয় যখন নিরাপত্তাবাহিনী এই অঞ্চলে জঙ্গিদের উপস্থিতির নিশ্চিত খবর পায়। গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ দল এলাকা ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এই সময়ে জঙ্গিদের পক্ষ থেকে গুলি চালানো শুরু হয়, যার জবাবে নিরাপত্তাবাহিনীও পাল্টা জবাব দেয়। উভয় দিক থেকে গুলি বিনিময় চলছে এবং অভিযান চলমান রয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে অভিযান
সেনার হোয়াইট নাইট কর্পস (White Knight Corps) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টের মাধ্যমে এই সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযান পুরোপুরি গোয়েন্দা তথ্যের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হচ্ছে। জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই নিরাপত্তাবাহিনী ছাত্রু এলাকাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। এলাকায় তল্লাশি অভিযানের সময় জঙ্গিদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয় এবং এরপরেই সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিরাপত্তাবাহিনীর কৌশল এই মুহূর্তে জঙ্গিদের পালানোর সমস্ত সম্ভাব্য পথ বন্ধ করার উপর নিবদ্ধ।
হোয়াইট নাইট কর্পসের বিবৃতি
হোয়াইট নাইট কর্পস তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, যৌথ অভিযানের সময় সতর্ক সেনারা জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত করে এবং গুলি বিনিময়ের জবাব দিতে দিতে অভিযান চালিয়ে যায়। বিবৃতিতে আরও স্পষ্ট করা হয়েছে যে, অভিযান এখনও চলছে এবং সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে। এই অভিযানে সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ উভয়েরই যৌথ ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন
জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। পুরো এলাকা অবরুদ্ধ করা হয়েছে যাতে জঙ্গিরা কোনো দিকে পালাতে না পারে। স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছে যে, তারা যেন এই এলাকায় না যান এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সতর্ক থাকেন। এই পদক্ষেপ এই কারণেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ এনকাউন্টারের সময় সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষা প্রথম অগ্রাধিকার পায়।
কুলগামেও চলেছিল যৌথ অভিযান
এই এনকাউন্টারের একদিন আগে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলাতেও নিরাপত্তাবাহিনী জঙ্গিদের পুরনো আস্তানা খুঁজে বের করে ধ্বংস করেছিল। এই অভিযান দামহাল হানজিপোরার জঙ্গলে চালানো হয়েছিল। গোয়েন্দা রিপোর্টে জঙ্গিদের কার্যকলাপের খবর পাওয়ার সাথে সাথেই সেনার ৯ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস (9 Rashtriya Rifles) এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের দল এলাকাটি ঘিরে ফেলেছিল। তল্লাশি অভিযানের সময় দুটি পুরনো আস্তানা পাওয়া যায়, যেখান থেকে জঙ্গিদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়। এই আস্তানাগুলি ধ্বংস করার পর নিরাপত্তাবাহিনী এলাকায় আরও সম্ভাব্য লুকানোর স্থানগুলি পরীক্ষা করে।












