মঙ্গলবার সোনার বাজারে যেন আগুন! দিনের শুরুতে একটু দাম বাড়ার খবর শুনেই সাধারণ মানুষ বেশ চিন্তায় পড়েছিলেন।

মঙ্গলবার সোনার বাজারে যেন আগুন! দিনের শুরুতে একটু দাম বাড়ার খবর শুনেই সাধারণ মানুষ বেশ চিন্তায় পড়েছিলেন।
সর্বশেষ আপডেট: 30-11--0001

কিন্তু বিকেলের দিকে নতুন করে আবার দাম বাড়ার খবর যেন মাথায় হাত দেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি করল। যে যাঁরা সোনা কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তাঁদের স্বপ্ন কার্যত ভেস্তে যেতে বসেছে।গত কয়েকদিন সোনার দামে সামান্য কিছুটা স্বস্তি মিললেও, আজকের এই ধারাবাহিক বৃদ্ধিতে ফের চাপে পড়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি। সকালে সোনার দাম যেখানে ছিল, বিকেল গড়াতেই সেটি আরও উর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে। বাঙালির চিরকালীন সোনার প্রতি আকর্ষণ থাকলেও এবার সত্যিই অনেকের কাছে তা শুধু দূরের স্বপ্ন হয়েই রইল।বর্তমানে সোনার যে দর, তাতে একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে ১০ গ্রামেরও সামান্য গয়না কিনতে বেশ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। শুধু সোনাই নয়, রুপোর বাজারও ঊর্ধ্বগতি দেখাচ্ছে। ১ কেজি রুপোর দর ইতিমধ্যেই এক লক্ষ টাকার গণ্ডি পার করে ফেলেছে। ফলে উৎসব, বিয়ে বা অন্যান্য প্রয়োজনীয়তায় সোনা-রুপো কেনার কথা ভাবলেই এখন ভাবনার ভাঁজ বাড়ছে মধ্যবিত্তের কপালে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের জেরেই এই মূল্যবৃদ্ধি। 

ডলার-টাকার রেট ওঠানামা, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার চাহিদা, রাজনৈতিক অস্থিরতা—সব মিলিয়ে সোনার বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত। অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ সোনার দাম ১ লক্ষ টাকা প্রতি ১০ গ্রামও ছুঁতে পারে।

তবে এই দাম বৃদ্ধির ফলে যাঁদের কাছে আগে থেকেই সোনা ছিল, তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছে।

কারণ পুরনো গয়নাগুলি এখন বিক্রি করলে বেশ মোটা অঙ্কের লাভ মিলছে। তাই কেউ কেউ এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন।

১ জুলাই মঙ্গলবার বাজারে ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি গ্রাম ৯২৩৫ টাকা। 

১৮ ক্যারেটের ক্ষেত্রে প্রতি গ্রাম ৭৫৮০ টাকা। রুপোর দর ১,০৭,১৩৫ টাকা প্রতি কেজি। তবে উপরিউক্ত দামের সঙ্গে ৩ শতাংশ GST যোগ হবে।

শেষ কয়েক বছরের বাজার প্রবণতা যদি বিচার করা হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে সোনার দামে প্রায় প্রতি

বছরই উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হচ্ছে। আর তারই জেরে অনেক বিনিয়োগকারী এখন সোনার বিকল্প খুঁজছেন। কেউ মিউচুয়াল ফান্ড, কেউ বা রিয়েল এস্টেট বা স্টক মার্কেটের দিকে ঝুঁকছেন। তবে বহু মানুষ এখনও সোনাকেই নিরাপদ বিনিয়োগ বলে মনে করছেন। স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির (SSBC) মতে, এমন অস্বাভাবিক দামের পরিস্থিতিতে বাজার সামলানো সত্যিই বড় চ্যালেঞ্জ।

Leave a comment