আজ দেশে সোনার দামে বৃদ্ধি দেখা গেছে, যেখানে রুপো সস্তা হয়েছে। সোনার দাম প্রতি 10 গ্রামে 113,390 টাকায় পৌঁছেছে, 24 ক্যারেট সোনার দাম দিল্লিতে 113,080 এবং মুম্বাইতে প্রতি 10 গ্রামে 113,470 টাকা হয়েছে। একই সময়ে, রুপোর দাম প্রতি কিলোগ্রামে 136,790 টাকায় নেমে এসেছে।
আজ সোনার দাম: 26 সেপ্টেম্বর 2025 তারিখে দেশে সোনার দামে বৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে রুপোর দাম কমে প্রতি কিলোগ্রামে 136,790 টাকায় লেনদেন হচ্ছে। সোনার দাম 0.14% বেড়ে প্রতি 10 গ্রামে 113,390 টাকা হয়েছে। দিল্লিতে 24 ক্যারেট 10 গ্রাম সোনা 113,080 টাকা এবং মুম্বাইতে 113,470 টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই বৃদ্ধি প্রধানত মার্কিন বাজার এবং অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগকারীদের কার্যকলাপের প্রভাবে ঘটেছে।
সোনার দামে বৃদ্ধি
বুলিয়ন বাজারের তথ্য অনুযায়ী, আজ 24 ক্যারেট সোনার দাম বেড়ে প্রতি 10 গ্রামে 113,390 টাকায় দাঁড়িয়েছে। এটি আগের দিনের তুলনায় 160 টাকা বৃদ্ধি। বিনিয়োগকারী এবং ক্রেতাদের জন্য এটি একটি ইঙ্গিত যে সোনার চাহিদা স্থিতিশীল রয়েছে। সোনার দামে এই বৃদ্ধি মার্কিন এবং বৈশ্বিক বাজারের ওঠানামা, ডলারের হার এবং শেয়ার বাজারের গতিবিধির সাথে যুক্ত।
দিল্লি এবং মুম্বাইতেও সোনার দামে বৃদ্ধি দেখা গেছে। দিল্লিতে 10 গ্রাম 24 ক্যারেট সোনার দাম 113,080 টাকায় পৌঁছেছে, যা আগের হারের চেয়ে 250 টাকা বেশি। মুম্বাইতে সোনার দাম 450 টাকা বেড়ে প্রতি 10 গ্রামে 113,470 টাকা হয়েছে। বুলিয়ন বাজারে এটি 0.400 শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
রুপোর দামে পতন
অন্যদিকে, আজ রুপোর দামে পতন দেখা গেছে। রুপোর দাম প্রতি কিলোগ্রামে 136,790 টাকায় পৌঁছেছে। এটি আগের হারের চেয়ে প্রতি কিলোগ্রামে 240 টাকা কমেছে। রুপোর দামে এই পতন বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান বিক্রি এবং বৈশ্বিক বাজারে রুপোর সরবরাহের অবস্থার কারণে ঘটেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, সোনার তুলনায় রুপোর দামে অস্থিরতা বেশি দেখা যায়। বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি সতর্ক থাকার সময়, কারণ শেয়ার বাজারের গতিবিধি এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিস্থিতি সরাসরি রুপোর দামে প্রভাব ফেলতে পারে।
বাজারের পেছনের কারণ
আজ সোনা ও রুপোর দামে এই পরিবর্তন মার্কিন এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সূচকগুলির সাথে যুক্ত। ট্রাম্পের ফার্মা সেক্টরে শুল্ক ঘোষণার পর ভারতীয় শেয়ার বাজারে পতন দেখা যায়, যার প্রভাব কমোডিটি বাজারেও পড়ে। খবর লেখা পর্যন্ত সেনসেক্স প্রায় 400 পয়েন্ট কমে লেনদেন করছিল। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ অর্থাৎ সোনার দিকে ঝুঁকে পড়েন, যার ফলে সোনার দামে বৃদ্ধি দেখা যায়।
অন্যদিকে, রুপোর দামে পতনের কারণ হল বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের ভারসাম্যহীনতা। রুপো শিল্পজাত পণ্যে বেশি ব্যবহৃত হয়, এবং যখন শেয়ার বাজার ও অর্থনৈতিক সূচকগুলি অস্থির থাকে, তখন বিনিয়োগকারীরা রুপোর মতো ধাতু থেকে দূরে সরে যায়।
বিনিয়োগকারীদের জন্য ইঙ্গিত
সোনার দামে বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক ইঙ্গিত হতে পারে। এটি নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনার চাহিদা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে, রুপোর পতন এই সতর্কতা দেয় যে এই সময়ে রুপোয় বিনিয়োগ করার সময় বাজারের গতিবিধির উপর নজর রাখা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সোনার দাম বৈশ্বিক চাহিদা এবং মার্কিন ডলারের হারের উপর ভিত্তি করে বাড়তে পারে। রুপোর দামে পতনও সাময়িক হতে পারে, তবে এটি বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার বার্তা দেয়।