গুরুগ্রামে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল গভীর রাতে এনকাউন্টারে নাজফগড় সেলুন হত্যাকাণ্ডের দুই অভিযুক্ত মোহিত জাখর এবং যতীন রাজপুতকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তদের পায়ে গুলি লেগেছে, পুলিশ তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করেছে।
গুরুগ্রাম: হরিয়ানার গুরুগ্রামে গভীর রাতে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং গুরুগ্রাম পুলিশের যৌথ অভিযানে দুই ওয়ান্টেড অভিযুক্তকে এনকাউন্টারের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই অভিযুক্তের পায়ে গুলি লেগেছে। এই অভিযুক্তরা নাজফগড়ের সেলুনে ঘটে যাওয়া দুই ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের মূল সাক্ষী নীরজ তেহলানের হত্যার অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল।
এনকাউন্টারে নীরজ হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে যে নীরজ তেহলান হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্তরা গুরুগ্রামে রয়েছে। এরপর স্পেশাল সেল এবং গুরুগ্রাম পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। এনকাউন্টারে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে পুলিশের উপর ছয় রাউন্ড গুলি চালানো হয়। পাল্টা গুলিতে পুলিশ দুই অভিযুক্তের পায়ে গুলি করে।
দুই আহতকে সেক্টর-১০, গুরুগ্রাম সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, পাঁচটি তাজা কার্তুজ এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এই অভিযানে পুলিশকর্মীরাও সুরক্ষিত ছিলেন। হেড কনস্টেবল নরপতের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে এবং সাব-ইনস্পেক্টর বিকাশের হাতে গুলি লাগে, তবে দুজনেই সুরক্ষিত আছেন।
নাজফগড় সেলুনে দুই ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড
প্রায় এক বছর আগে নাজফগড়ের একটি সেলুনে দুই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজও সামনে এসেছিল। নীরজ তেহলান এই ফুটেজে দেখা গিয়েছিল এবং তিনি এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান সাক্ষী হয়েছিলেন।
তবে, পরবর্তীতে নীরজকেও হত্যা করা হয়েছিল, যাতে হত্যাকাণ্ডের মামলায় কোনো প্রমাণ না পাওয়া যায়। পুলিশ দীর্ঘ সময় ধরে অভিযুক্তদের সন্ধান করছিল এবং এখন এনকাউন্টারে তাদের গ্রেপ্তার করে মামলাটি সমাধান করতে সফল হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তদের পরিচয়
গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তদের নাম মোহিত জাখর এবং যতীন রাজপুত। পুলিশ জানিয়েছে যে, দুজনেই দীর্ঘ সময় ধরে ওয়ান্টেড ছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এনকাউন্টারের পর এই গ্রেপ্তারি শুধু নীরজ হত্যার মামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আনেনি, বরং সেলুন হত্যাকাণ্ডের তদন্তেও বড় সাফল্য এনে দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই হত্যা, ফৌজদারি ষড়যন্ত্র এবং অস্ত্র সম্পর্কিত অপরাধের ধারায় মামলা দায়ের করা হবে। এর আগেও উভয় অভিযুক্ত পলাতক ছিল এবং পুলিশ তাদের লাগাতার খুঁজছিল।