গ্বালিয়রে গাড়ি দুর্ঘটনায় ৪ কাঁওয়ারির মৃত্যু, এলাকায় শোকের ছায়া

গ্বালিয়রে গাড়ি দুর্ঘটনায় ৪ কাঁওয়ারির মৃত্যু, এলাকায় শোকের ছায়া

গ্বালিয়রে গভীর রাতে দ্রুতগতির একটি গাড়ি কাঁওয়ারিদের পিষে দিলে ঘটনাস্থলেই ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর স্বজনরা রাস্তায় অবরোধ করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

দুর্ঘটনা: শ্রাবণের পবিত্র যাত্রা কাঁওয়ার যাত্রা সেই সময় শোকে পরিণত হয় যখন সোমবার গভীর রাতে গ্বালিয়র-শিবপুরী লিঙ্ক রোডে একটি বেপরোয়া দ্রুতগতির গাড়ি কাঁওয়ারিদের পিষে দেয়। এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনায় চার জন তীর্থযাত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে, যেখানে দুজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং স্বজনরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।

দুর্ঘটনা: যখন আস্থা পিষ্ট হলো

এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি সোমবার রাত প্রায় ১২টায় শীতলা মাতা মন্দির চৌরাস্তার কাছে ঘটে, যেখানে প্রায় ১৫ জন কাঁওয়ারির একটি দল জল ঢেলে ফেরার পথে ছিল। ঠিক তখনই একটি দ্রুতগতির গ্লাঞ্জা গাড়ি, যার গতি প্রায় ১৪০ কিমি/ঘণ্টা ছিল বলে জানা যায়, টায়ার ফেটে যাওয়ার পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি কাঁওয়ারিদের ওপর উঠে যায়।

গাড়ির নিচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে গাড়ির ধাক্কা এতটাই জোরে ছিল যে কাঁওয়ারিদের শরীর দূরে ছিটকে পড়ে এবং একটি মৃতদেহ গাড়ির নিচে আটকে যায়। পুলিশ যখন ক্রেনের সাহায্যে গাড়িটিকে উল্টায়, তখন ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। মৃতদেহটি মারাত্মকভাবে পিষ্ট হয়ে গিয়েছিল এবং চেনা কঠিন ছিল।

মৃত ও আহত – সবাই ছিলেন আত্মীয়

পুলিশের তদন্তে জানা গেছে যে, নিহতরা সবাই একে অপরের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং গ্বালিয়রের কাছে অবস্থিত সিমারিয়া ও চক গ্রামের বাসিন্দা। এই পরিবার প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে কাঁওয়ার যাত্রা করত এবং এবারও ১৫ জনের একটি দল হরিদ্বার থেকে জল ভরে ফিরছিল। मृतकों की पहचान पूरन, रमेश, दिनेश और धर्मेंद्र के रूप में हुई है। मृतकोंের পরিচয় পুরান, রমেশ, দিনেশ এবং ধর্মেন্দ্র হিসাবে হয়েছে। অন্যদিকে, হরগোবিন্দ এবং প্রহ্লাদ গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের চিকিৎসা গ্বালিয়রের জনরোগ্য হাসপাতালে চলছে।

স্বজনদের ক্ষোভ – হাইওয়েতে অবরোধ

দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রচুর সংখ্যক গ্রামবাসী ও স্বজন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। উত্তেজিত জনতা গ্বালিয়র-শিবপুরী হাইওয়েতে অবরোধ করে এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে। স্বজনদের দাবি ছিল দোষী ড্রাইভারকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এবং মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

পুলিশের তৎপরতা ও প্রশাসনের উদ্বেগ

ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সিএসপি রবিন জৈন তিনটি থানার ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ ভিড়কে শান্ত করার চেষ্টা করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গাড়ির চালক পলাতক বলে জানা গেছে, তার খোঁজ চলছে। পুলিশ গাড়িটি জব্দ করেছে এবং এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিএসপি রবিন জৈন জানান, 'আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। গাড়ির চালককে শনাক্ত করা হয়েছে এবং শীঘ্রই তাকে গ্রেফতার করা হবে।'

প্রশাসনের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি, রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে

ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় নেতারাও শোক প্রকাশ করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। বিরোধী দল প্রশাসনকে প্রশ্ন করে বলেছে যে, হাইওয়েতে এত দ্রুত গতিতে গাড়ি কিভাবে চলছে? কেন স্পিড লিমিট নিয়ে কড়াকড়ি করা হচ্ছে না?

ধর্ম ও শ্রদ্ধার নামে যাত্রা, কিন্তু সুরক্ষা নেই

এই প্রথম নয় যে কাঁওয়ার যাত্রীদের ওপর এমন দুর্ঘটনা ঘটল। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী রাস্তায় বের হন, কিন্তু তাদের জন্য উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রায়শই থাকে না। না তো রাস্তার ধারে কোনো ব্যারিকেড থাকে, না পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স।

শ্রদ্ধাঞ্জলি ও প্রশ্ন – কে নেবে দায়িত্ব?

পুরো এলাকা এই দুর্ঘটনায় স্তম্ভিত। একদিকে শ্রাবণের শ্রদ্ধা, অন্যদিকে চারটি পরিবারে শোক। এটি কেবল একটি সড়ক দুর্ঘটনা নয়, বরং প্রশ্ন — আমাদের ব্যবস্থা কি এতটাই দুর্বল যে ধর্মীয় যাত্রাও নিরাপদ নয়?

Leave a comment