হাথরস পদদলিতির ঘটনা: আজ আদালতে গুরুত্বপূর্ণ শুনানি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সম্ভাবনা

হাথরস পদদলিতির ঘটনা: আজ আদালতে গুরুত্বপূর্ণ শুনানি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সম্ভাবনা

সিকandarারাউর ফুলারইতে গত বছর সাকার বিশ্ব হরির সৎসঙ্গের সময় ঘটে যাওয়া পদদলিতির ঘটনা নিয়ে বুধবার এডিজে প্রথম (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক)-এর আদালতে গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হওয়ার কথা।

Hathras Stampede Update: উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলার ফুলরাই গ্রামে গত বছর সাকার বিশ্ব হরি সৎসঙ্গ দুর্ঘটনায় আজ গুরুত্বপূর্ণ আইনি মোড় আসতে পারে। এডিজে প্রথম (ADJ-1)-এর আদালতে এই মামলার শুনানি নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনার ১১ জন অভিযুক্ত সেবাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হতে পারে। উল্লেখ্য, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১২১ জন মারা গিয়েছিলেন, যা দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল।

কী ছিল হাথরস সৎসঙ্গ দুর্ঘটনা?

গত বছর সিকandarারাউ অঞ্চলের ফুলরাই গ্রামে একটি বিশাল সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে হাজার হাজার ভক্ত অংশ নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরে ভক্তরা যখন ফিরতে শুরু করেন, তখনই হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় এবং দেখতে দেখতে পদদলিতিতে রূপ নেয়। এই দুর্ঘটনায় ১২১ জন ভক্তের প্রাণহানি ঘটে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিলেন। এই বিপর্যয়ের পর দেশজুড়ে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আবারও প্রশ্ন ওঠে।

চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য, ৭০০ জন সাক্ষী রয়েছেন

হাথরস পুলিশ বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত তদন্ত শুরু করে। তদন্তের পর ১১ জন সেবাদারকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে ৩২০০ পৃষ্ঠার একটি বিস্তারিত চার্জশিট দাখিল করা হয়। এই চার্জশিটে প্রায় ৭০০ জন সাক্ষীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যারা দুর্ঘটনার সত্যতা উন্মোচন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়েছে যে আয়োজকরা নিরাপত্তা মান উপেক্ষা করেছেন, ভিড় ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি করেছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে পর্যাপ্ত তথ্য দেননি, যার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত ১১ জনকেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট থেকে জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে মামলাটি এখনও স্থানীয় আদালতে বিচারাধীন। গত কয়েক মাস ধরে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে বিতর্ক চলছিল, যা সম্প্রতি শেষ হয়েছে।

আজকের শুনানিতে আদালত এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে কোন ধারায় অভিযোগ গঠন করা হবে এবং মামলায় পরবর্তী বিচার কীভাবে চলবে। যদি অভিযোগ গঠন করা হয় এবং সেগুলোকে গুরুতর বলে মনে করা হয়, তাহলে অভিযুক্তদের জামিন বাতিলের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে।

Leave a comment