নাগিনা সাংসদ চন্দ্রশেখরের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে বিতর্ক, পানীয় গ্রিন-টি দাবি; অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা

নাগিনা সাংসদ চন্দ্রশেখরের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে বিতর্ক, পানীয় গ্রিন-টি দাবি; অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা

নাগিনা সাংসদ চন্দ্রশেখরের ভাইরাল ভিডিও বিতর্ক সৃষ্টি করছে। সাংসদের প্রতিনিধি জানিয়েছেন যে ভিডিওতে দেখানো পানীয়টি গ্রিন-টি ছিল, মদ নয়। ধামপুর পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

UP: উত্তরপ্রদেশের নাগিনা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ চন্দ্রশেখরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওতে সাংসদকে একটি কাঁচের গ্লাসে পান করতে দেখা যাচ্ছে, যার সাথে দাবি করা হয়েছে যে সাংসদ মদ্যপান করছেন। এই ভিডিওটি ডাঃ রোহিনী ঘাওয়ারির ইনস্টাগ্রাম আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছিল। ভাইরাল হওয়ার পর সাংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিনিধি ধামপুর কোতয়ালিতে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

ভিডিওতে উত্থাপিত অভিযোগ

ভিডিওতে রোহিনী ঘাওয়ারি সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তিনি তাকে প্রতারণা করছেন এবং ব্যক্তিগত স্তরে তাকে হেনস্থা করেছেন। ভিডিওতে দেখানো হয়েছে যে চন্দ্রশেখর একটি কাঁচের গ্লাসে হালকা হলুদ রঙের পানীয় পান করছেন, যাকে ভাইরাল পোস্টে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং মদ্যপানের দাবি করা হয়েছে। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত শেয়ার করা হয়েছে, যার ফলে বিতর্ক বেড়েছে।

সাংসদের প্রতিনিধির বক্তব্য

সাংসদ চন্দ্রশেখরের প্রতিনিধি এবং ধামপুরের বাসিন্দা বিবেক সেন ভাইরাল ভিডিওর পর ধামপুর কোতয়ালিতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে ভিডিওতে দেখানো পানীয়টি আসলে গ্রিন-টি ছিল, মদ নয়। প্রতিনিধি অভিযোগ করেছেন যে এই ভিডিওর মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি পুলিশের কাছে ইন্টারনেট মিডিয়া থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার এবং রোহিনী ঘাওয়ারির আইডি ব্লক করার দাবিও জানিয়েছেন।

পুলিশ মামলা দায়ের করেছে

বিবেক সেনের অভিযোগের ভিত্তিতে ধামপুর কোতয়ালি পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০৮-এর ৬৬-ই ধারা এবং অপমান ও মানসিক হেনস্থার অধীনে নথিভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে এই মামলাটি ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কারো সুনাম ক্ষুণ্ণ করার সাথে সম্পর্কিত।

রোহিনী ঘাওয়ারির রাজনৈতিক সম্পর্ক

তথ্য অনুযায়ী, রোহিনী ঘাওয়ারি পূর্বে সাংসদ চন্দ্রশেখরের সাথে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ছিলেন এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে তাদের বন্ধুত্বের দাবি করতেন। তবে, নির্বাচনের কিছু সময় আগে তিনি রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি করেছিলেন এবং বর্তমানে বিদেশে তার পড়াশোনা শেষ করছেন। গত কিছু সময় ধরে রোহিনী ঘাওয়ারির আইডি থেকে অনেক ভিডিও তৈরি এবং শেয়ার করা হচ্ছে, যেখানে চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের প্রভাব

ভাইরাল ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং এটি অনেক প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিওতে ভুল দাবি এবং অভিযোগের কারণে সাংসদের জনসম্মুখে ভাবমূর্তির উপর প্রভাব পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ভিডিওর প্রভাব তাৎক্ষণিক হয় এবং ব্যক্তির সুনাম নষ্ট করতে পারে। সাংসদের প্রতিনিধিও জানিয়েছেন যে ভিডিওটির উদ্দেশ্য সাংসদকে বদনাম করা এবং এটিকে আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা উচিত।

পূর্ববর্তী ঘটনা কী ছিল

সাংসদ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে। সেই ঘটনাতেও সাংসদ মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন, যা এখন আদালতে বিচারাধীন। প্রতিনিধি বিবেক সেনের বক্তব্য যে ভাইরাল ভিডিওটির উদ্দেশ্য সাংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট করা, এবং এবারও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

Leave a comment