রাতের খাবারের পরে চার ব্রহ্মাস্ত্রে নিয়ন্ত্রণে ব্লাড সুগার

রাতের খাবারের পরে চার ব্রহ্মাস্ত্রে নিয়ন্ত্রণে ব্লাড সুগার

High Blood Sugar Control Tips: ডায়াবেটিস এমন এক রোগ যা টাইপ ১ এবং টাইপ ২ হিসেবে বিভক্ত। টাইপ ১ জেনেটিক এবং পরিবারের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্ত, আর টাইপ ২ ডায়াবেটিস খারাপ খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষজ্ঞ নিখিল প্রভু জানিয়েছেন, রাত্রে খাবারের পর শর্করা জাতীয় খাবার বেশি এবং ফাইবার কম হলে ব্লাড সুগার দ্রুত বাড়ে। তাই রাতের খাবারের পরে চারটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস অবলম্বন করলে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

রাতের খাবারের পর সুগার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করুন

ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রাতের খাবারের পর ব্লাড সুগার বেশি হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শর্করা জাতীয় খাবারের পরিমাণ সীমিত রাখলে এবং ফাইবারযুক্ত খাবার বাড়ালে শরীর সুস্থ থাকে।

হালকা হাঁটাচলা ও শারীরিক কার্যকলাপ

রাত্রে খাবারের পর শুয়ে পড়লে ব্লাড সুগার দ্রুত বাড়ে। ১০–১৫ মিনিট হালকা হাঁটাচলা করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ওজনও বাড়ে না।

খাবারের ভাগ ও টাইমিং

বেশি পরিমাণে খাবার একবারে না খেয়ে অল্প অল্প করে দুবার খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। সন্ধে ৭টার মধ্যে খাবার শেষ করা এবং লো-ফ্যাট দুধ খাওয়া অত্যন্ত কার্যকর।

প্রোটিন ও সুষম খাদ্য

রাত্রে আটার পরিমাণ কম রেখে ডাল, পনীর, গ্রিলড চিকেন ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে শরীর টানটান থাকে এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ডায়াবেটিস ওষুধের সঙ্গে ঘরোয়া টোটকা

যদি ডায়াবেটিসের জন্য ওষুধ খাওয়া হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের সঙ্গে ঘরোয়া পদ্ধতিও নিয়মিত পালন করতে হবে। এটি ব্লাড সুগার স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাতের খাবারের পর চারটি কার্যকর পদ্ধতি শরীরকে রাখে সুস্থ ও টানটান। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য খাদ্যাভ্যাস, ইনসুলিন সমতা এবং হালকা শারীরিক কার্যকলাপ অপরিহার্য। সঠিক অভ্যাসের মাধ্যমে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Leave a comment