হিমাচল প্রদেশের শিমলা জেলার চেওড়ি পঞ্চায়েতে প্রস্তাবিত মদের দোকানের বিরুদ্ধে তীব্র জনরোষ এবং পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের গণ পদত্যাগের পর রাজ্য সরকার একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পঞ্চायती রাজ মন্ত্রী অনিরুদ্ধ সিং এই বিষয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে আবগারি কমিশনারকে দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এখন চেওড়ি পঞ্চায়েতের খেরা গ্রামে মদের দোকান খুলবে না।
জনগণের বিরোধিতার উপর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ
মন্ত্রী অনিরুদ্ধ সিং বলেছেন যে, খবর পাওয়া মাত্রই তিনি আবগারি বিভাগের সঙ্গে কথা বলেন এবং জনমতের প্রতি সম্মান জানিয়ে দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে মদের দোকান খোলার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুমতির প্রয়োজন হয় না, কারণ এটি সম্পূর্ণভাবে আবগারি বিভাগের সিদ্ধান্ত। তবে, জনগণের সম্মিলিত বিরোধিতা এবং পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের পদত্যাগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য ছিল।
মন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের কণ্ঠস্বরকে উপেক্ষা করতে পারে না। উন্নয়নের প্রতিটি সিদ্ধান্তে জন-অংশীদারিত্বকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং জনগণের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানানোই সরকারের প্রধান কাজ।
অর্থনৈতিক সংকটে নতুন পঞ্চায়েত গঠন নয়
মদের দোকান নিয়ে বিতর্কের মধ্যে মন্ত্রী অনিরুদ্ধ সিং আরও স্পষ্ট করেছেন যে রাজ্যের খারাপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আপাতত নতুন পঞ্চায়েত গঠন করা হবে না। তিনি জানান, সরকারের কাছে প্রায় ৭৫০টি নতুন পঞ্চায়েত গঠনের প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু বর্তমান আর্থিক সংকটের কারণে তা আপাতত স্থগিত রাখতে হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, একটি পঞ্চায়েত পরিচালনা করতে বছরে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হয়, যেখানে পঞ্চায়েত ভবন নির্মাণে ১.১৪ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে নতুন পঞ্চায়েত পরিচালনা ও নির্মাণে ব্যয় করার মতো পর্যাপ্ত সম্পদ নেই।
পঞ্চায়েত নির্বাচন সময়মতো হবে
যদিও নতুন পঞ্চায়েত গঠিত হবে না, তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠিত হবে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, পঞ্চायती রাজ ব্যবস্থা গ্রামের উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তাই এতে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো হবে না।