হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম চূড়ান্ত, ঘোষণার অপেক্ষা

হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম চূড়ান্ত, ঘোষণার অপেক্ষা

হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর প্রত্যাবর্তনের পরেই ঘোষণা করা হবে। বিনয় কুমার এবং বিনোদ সুলতানপুরীর মধ্যে একজনকে দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Himachal Politics: হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির নতুন সভাপতি ও কার্যনির্বাহী কমিটি নিয়ে শীঘ্রই ঘোষণা হতে চলেছে। রাহুল গান্ধী দিল্লি ফিরতেই দল আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবে। তফসিলি জাতি (এসসি) শ্রেণী থেকে সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিনয় কুমার এবং বিনোদ সুলতানপুরীর নাম নিয়ে ঐকমত্য হয়েছে।

শীঘ্রই হিমাচল কংগ্রেস সভাপতির ঘোষণা

হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসে দীর্ঘদিন ধরে চলা সাংগঠনিক পরিবর্তনের প্রক্রিয়া এখন শেষ পর্যায়ে। দলীয় সূত্র অনুযায়ী, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি (HPCC)-র নতুন সভাপতির নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। রাহুল গান্ধী দিল্লি ফেরার পরেই দল এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবে।

সভাপতির সঙ্গে কার্যনির্বাহী কমিটিও গঠিত হবে

শুধু সভাপতিই নয়, কংগ্রেসের রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটিও দ্রুত গঠন করা হবে। দলীয় নেতৃত্ব নতুন সভাপতি ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নামের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এখন কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা। মনে করা হচ্ছে, দল এবার সংগঠনকে আঞ্চলিক ও জাতিগত ভারসাম্যের ভিত্তিতে নতুন রূপ দেবে।

মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী প্রভারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন

মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু এবং উপমুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী সম্প্রতি হিমাচল কংগ্রেসের प्रभारी রজনি পাটিলের সঙ্গে দিল্লিতে সাক্ষাৎ করেছেন। এই বৈঠকে সভাপতি পদের জন্য বিনয় কুমার এবং বিনোদ সুলতানপুরীর নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দু'জনের নামই শীর্ষ স্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে।

তফসিলি জাতি (এসসি) শ্রেণী থেকে সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা

সূত্রানুসারে, কংগ্রেস হাইকমান্ড তফসিলি জাতি (এসসি) শ্রেণী থেকে নতুন প্রদেশ সভাপতি করতে চাইছে। যদি তাই হয়, তাহলে বর্তমান সভাপতি প্রতিভা সিংকে সরানো হতে পারে। হিমাচলে তফসিলি জাতির ১৭টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে এবং দুজন মন্ত্রীও এই শ্রেণী থেকে আসেন। দল এই শ্রেণীকে সাংগঠনিক নেতৃত্ব দিতে চাইছে।

বিনয় কুমার এবং বিনোদ সুলতানপুরীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা

বিনয় কুমার শ্রী রেণুকাজি থেকে বিধায়ক এবং বর্তমানে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন। তিনি আগে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি এবং বীরভদ্র সিং সরকারের আমলে সি.পি.এস.ও ছিলেন। সম্প্রতি তিনি দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গেও দেখা করেছেন।

বিনোদ সুলতানপুরী কসৌলি থেকে প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সংগঠনে আগেও সক্রিয় ছিলেন এবং মুখ্যমন্ত্রী সুখুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তিনি লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

সংগঠন সম্পাদক সভাপতির পছন্দের হবেন

কংগ্রেসের সংগঠনে সভাপতির পরে সংগঠন সম্পাদকের পদটি গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় সূত্রে খবর, সংগঠন সম্পাদকের নির্বাচন নতুন সভাপতির পছন্দের ভিত্তিতে করা হবে। এছাড়াও, কার্যনির্বাহী কমিটিতে কিছু নতুন মুখকে জায়গা দেওয়ার বিষয়েও ঐকমত্য হয়েছে।

সাংগঠনিক জেলা ও ব্লক নিয়েও আলোচনা

বৈঠকে সাংগঠনিক কাঠামোতে পরিবর্তন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সূত্রানুসারে, দলের কার্যনির্বাহী কমিটির আকার ছোট করা হবে এবং নতুন সাংগঠনিক জেলা ও ব্লক গঠন করে নেতাদের সেখানে সমন্বিত করা হবে।

সম্ভাব্য মন্ত্রিসভা রদবদল

যদি বিনয় কুমারকে প্রদেশ সভাপতি করা হয়, তাহলে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ পদটি শূন্য হবে। সেক্ষেত্রে মন্ত্রিসভা বা অন্যান্য সাংগঠনিক পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই বিষয়েও দলীয় স্তরে আলোচনা চলছে।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ নিয়ে আরও কিছু নামের ওপর আলোচনা চলছে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দলীয় হাইকমান্ডের হাতে। রাহুল গান্ধী দিল্লি ফেরার পর, ভারপ্রাপ্ত রজনি পাটিল তাঁকে সমস্ত তথ্য জানাবেন এবং তাঁর অনুমোদনের পরেই চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে।

Leave a comment