রাজস্থান কংগ্রেসে জেলা সভাপতি নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদন: দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

রাজস্থান কংগ্রেসে জেলা সভাপতি নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদন: দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
সর্বশেষ আপডেট: 1 ঘণ্টা আগে

রাজস্থান কংগ্রেসের জন্য আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। দীর্ঘকাল ধরে স্থগিত থাকা জেলা সভাপতিদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং দল নিউ দিল্লিতে মহাসচিব কেসি ভেনুগোপালের সভাপতিত্বে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ৪৮টি জেলার সভাপতিদের নামের ওপর চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে চলেছে। 

জয়পুর: রাজস্থান কংগ্রেসে দীর্ঘকাল ধরে স্থগিত থাকা জেলা ও গ্রামীণ সভাপতিদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন তার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আজ, ২৪ অক্টোবর, নিউ দিল্লিতে দলের মহাসচিব কেসি ভেনুগোপালের সভাপতিত্বে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যেখানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, বিরোধী দলনেতা এবং জেলার দায়িত্বপ্রাপ্তরা উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠকগুলিতে রাজ্য জুড়ে জেলা সভাপতিদের নামের ওপর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। এই পদক্ষেপটি সাংগঠনিকভাবে কংগ্রেসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা

রাজস্থান কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে ৩০ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। এই পর্যবেক্ষকরা জেলাগুলি পরিদর্শন করে স্থানীয় নেতা ও কর্মীদের কাছ থেকে পর্যালোচনা এবং মতামত সংগ্রহ করে রিপোর্ট তৈরি করেছেন। আজকের প্রথম বৈঠকে এই ৩০ জন পর্যবেক্ষকের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে প্রতিটি জেলার ছয়জন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম শর্টলিস্ট করা হবে, যার মধ্যে তিনটি নামের ওপর সম্মতি তৈরি করা হবে। এই স্তরে স্থানীয় ভারসাম্য এবং কর্মীদের মতামতের বিশেষ যত্ন নেওয়া হবে।

প্রথম বৈঠকের পর দ্বিতীয় বৈঠকে রাজস্থান কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি, বিরোধী দলনেতা এবং রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্তরা উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠকে জাতিগত সমীকরণ, আঞ্চলিক ভারসাম্য এবং সাংগঠনিক শক্তিকে বিবেচনায় রেখে চূড়ান্ত নামগুলি নির্বাচন করা হবে। কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তুত প্যানেলটি কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে পাঠানো হবে এবং দল আশা করছে যে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ৫০টি জেলার মধ্যে ৪৮টি জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে।

বারা এবং ঝালাওয়াড় জেলায় বিলম্ব

তবে, বারা এবং ঝালাওয়াড় জেলায় এখনও পর্যন্ত কর্মীদের সঙ্গে মতামত বিনিময় সম্পূর্ণ হয়নি। এর প্রধান কারণ হিসেবে আন্টা বিধানসভা আসনে অনুষ্ঠিতব্য উপনির্বাচনটিকে উল্লেখ করা হচ্ছে। নির্বাচনী আচরণবিধির কারণে এই জেলাগুলিতে সাংগঠনিক আলোচনা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছিল। কংগ্রেস হাইকমান্ড আশা প্রকাশ করেছে যে উপনির্বাচন শেষ হওয়ার পর এই দুটি জেলার সভাপতিদের নামও দ্রুত ঘোষণা করা হবে। এর ফলে রাজস্থান কংগ্রেসের নতুন সাংগঠনিক দল সম্পূর্ণরূপে সক্রিয় হতে পারবে এবং আসন্ন নির্বাচনী প্রস্তুতিতে গতি আসবে।

রাজস্থান কংগ্রেসের জন্য জেলা সভাপতিদের নিয়োগ শুধুমাত্র পদ পূরণের বিষয় নয়। এটি সংগঠনের স্থানীয় শক্তি এবং নির্বাচনী কৌশলের জন্য একটি সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ। প্রতিটি জেলায় সভাপতির নির্বাচন দলের তৃণমূল স্তরের নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করতে, কর্মীদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে এবং আসন্ন স্থানীয় ও বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল নিশ্চিত করার জন্য করা হচ্ছে।

Leave a comment