যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রীর উপর হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী গ্রেফতার হিন্দোল মজুমদার স্পেন থেকে ফিরেই দিল্লিতে আটক

যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রীর উপর হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী গ্রেফতার হিন্দোল মজুমদার স্পেন থেকে ফিরেই দিল্লিতে আটক

ঘটনার প্রেক্ষাপট

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ মার্চের ঘটনার মূল নায়ক হিসেবে চিহ্নিত হিন্দোল মজুমদার এবার ধরা পড়লেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপর হামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ তাকে খুঁজছিল। এই ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি তিনি জখমও হন। ছাত্রছাত্রীদের দাবিও ছিল, এই হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।

স্পেন থেকে ফেরার পর গ্রেফতার

হিন্দোল মজুমদার বর্তমানে স্পেনে গবেষণারত ছিলেন। বুধবারই তিনি ভারতের মাটিতে পা রাখেন। তবে তার বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের লুক আউট নোটিস থাকার কারণে অভিবাসন বিভাগের কর্মকর্তা তাকে ধরা পড়েন। এরপর দিল্লি পুলিশের একটি টিম তাকে আটক করে কলকাতা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

দিল্লি থেকে কলকাতায় ট্রানজিট রিমান্ড

গ্রেফতারের পর হিন্দোলকে বৃহস্পতিবার দিল্লির আদালতে পেশ করা হবে। এরপর ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হবে। কলকাতা পুলিশ ঘটনার মূল অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে।

মূল অভিযুক্তের প্রভাব

হিন্দোল মজুমদারের গ্রেফতার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নিরাপত্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শান্তি পুনঃস্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই ধৃত মূল অভিযুক্তের বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, অন্যান্য জড়িতদের শনাক্ত করার জন্য তারা তদন্ত অব্যাহত রাখবে।

ছাত্রছাত্রী এবং প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

এই গ্রেফতারের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে আপাতত শান্তি বিরাজ করছে। প্রশাসন জানিয়েছে, আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যারা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার পরিবেশ পুনঃস্থাপনের চেষ্টা চলছে।হিন্দোল মজুমদারের গ্রেফতার এই ঘটনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। স্পেন থেকে দেশে ফিরেই ধরা পড়ার ঘটনা ন্যায্য আইনি প্রক্রিয়ার প্রমাণ। আগামী দিনগুলোতে আদালতের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শান্তি বজায় রাখা এই ঘটনার মূল লক্ষ্য হিসেবে ধরা হচ্ছে।

Leave a comment