পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হলে কংগ্রেস সহজেই জিতত: অভিমান্যু পুনিয়া

পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হলে কংগ্রেস সহজেই জিতত: অভিমান্যু পুনিয়া
সর্বশেষ আপডেট: 2 ঘণ্টা আগে

অভিমান্যু পুনিয়া বলেছেন যে ২০১৮ সালে সচিন পাইলট মুখ্যমন্ত্রী হলে ২০২৩ সালে কংগ্রেস সহজেই ক্ষমতায় থাকত। তিনি ২০২৮ সালের নির্বাচনেও পাইলটের নেতৃত্বে দলের ১৫০টির বেশি আসন জেতার ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এই বক্তব্য গেহলট-পাইলট বিতর্ককে ফের আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।

Jaipur: অভিমান্যু পুনিয়া এমন একটি বিবৃতি দিয়েছেন, যা রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। পুনিয়া দাবি করেছেন যে ২০১৮ সালে সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা হলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরত। শুধু তাই নয়, তিনি এমনও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে ২০২৮ সালের নির্বাচন পাইলটের নেতৃত্বে লড়া হবে এবং কংগ্রেস ১৫০টির বেশি আসন নিয়ে বিশাল জয় পাবে।

২০১৮ সাল থেকে গেহলট-পাইলটের টানাপোড়েন চলছে

২০১৮ সালে কংগ্রেস রাজস্থানে ক্ষমতায় ফিরেছিল। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে অশোক গেহলট এবং সচিন পাইলট শিবিরের মধ্যে টানাপোড়েন চলেছিল। অবশেষে পার্টি হাইকমান্ড গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রী এবং পাইলটকে উপমুখ্যমন্ত্রী করে। যদিও, এই সিদ্ধান্ত দলের অভ্যন্তরে অসন্তোষের আগুন জ্বালিয়ে দেয়, যা আগামী বছরগুলোতে বহুবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

অভিমান্যু পুনিয়ার এই বক্তব্য সেই পুরনো বিবাদকেই আবার নতুন করে তুলেছে। তিনি বলেছেন যে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ে সচিন পাইলটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, কিন্তু তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী না করে পার্টি একটি বড় ভুল করেছে।

পাইলট থাকলে ২০২৩ সালেও আমরা ক্ষমতায় আসতাম

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পুনিয়া বলেন, 'যদি ২০১৮ সালে সচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী করা হত, তাহলে তাঁর জনপ্রিয়তা এবং কাজের ধরনের কারণে ২০২৩ সালের নির্বাচনেও কংগ্রেস সহজেই সরকার গড়তে পারত।'

তিনি আরও বলেন যে পাইলটের নেতৃত্বে যুবকদের, কৃষকদের এবং সমাজের সব স্তরের মানুষকে একত্রিত করার কাজ হয়েছিল। পাইলট সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন, নতুন মুখদের রাজনীতিতে এনেছেন এবং দলের ভাবমূর্তিকে নতুন শক্তি দিয়েছেন।

২০২৮ সালে পাইলটের নেতৃত্বের দাবি

পুনিয়া এখানেই থামেননি। তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন যে ২০২৮ সালের বিধানসভা নির্বাচন কংগ্রেস সচিন পাইলটের নেতৃত্বে লড়বে এবং সেই নির্বাচনে পার্টি ১৫০টির বেশি আসন জিতবে। তাঁর মতে, জনগণের মধ্যে পাইলটের জন্য গভীর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে এবং সবাই তাঁকে রাজ্যের ভবিষ্যৎ মনে করে।

পাইলটের ভূমিকার উপর জোর

অভিমান্যু পুনিয়া বলেছেন যে ২০১৮ সালে কংগ্রেসের জয়ে পাইলটের অবদান অস্বীকার করা যায় না। তিনি জানান যে পাইলট প্রদেশ সভাপতি থাকাকালীন পার্টিতে যুবকদের স্থান দিয়েছেন, এনএসইউআই এবং যুব কংগ্রেসের কর্মীদের সক্রিয় করেছেন এবং মাঠ পর্যায়ের সমস্যা নিয়ে লড়াই করেছেন। এই কারণেই ২০১৮ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরে আসে।

রাজনৈতিক মহলে আলোচনা তুঙ্গে

পুনিয়ার এই বক্তব্যের পর কংগ্রেসের ভেতরে এবং বাইরে উভয় জায়গাতেই রাজনৈতিক আলোচনা শুরু হয়েছে। একদিকে পাইলট সমর্থকরা এই বক্তব্যকে সঠিক বলছেন এবং এটিকে ভবিষ্যতের বাস্তবতা হিসেবে দেখছেন, অন্যদিকে গেহলট সমর্থকরা এটিকে ব্যক্তিগত মতামত বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্য কংগ্রেসের অভ্যন্তরে নেতৃত্ব নিয়ে চলা পুরনো বিতর্ককে আরও উস্কে দেবে। বিশেষ করে ২০২৩ সালে কংগ্রেসের পরাজয়ের পর, পার্টিতে আত্মসমীক্ষার একটা পর্ব চলছে, এবং এমন পরিস্থিতিতে পাইলট বনাম গেহলটের ইস্যু আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসবে, তা বলাই বাহুল্য।

Leave a comment