কালচে ছোপে ঢেকে গিয়েছে জেল্লা? প্রসাধনী ছেড়ে বেছে নিন ঘরোয়া সমাধান

 কালচে ছোপে ঢেকে গিয়েছে জেল্লা? প্রসাধনী ছেড়ে বেছে নিন ঘরোয়া সমাধান

দাগছোপের সমস্যা: বয়স বাড়া, রোদে ঘোরা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা ব্রণ—এই সব কারণেই মুখে কালচে দাগছোপ দেখা দেয়। ইনসুলিনের ওঠানামা কিংবা ঘুমের অভাবও ত্বকের জেল্লা নষ্ট করে দেয়। ফলত মুখ, গলা, হাত–পা সব জায়গায়ই পিগমেন্টেশন দেখা দেয়।

প্রসাধনী নয়, হেঁশেলের ভরসায় রাখুন ত্বকের যত্ন

বাজারে যত নামী ব্র্যান্ডের ক্রিমই থাকুক, তাতে রাসায়নিক উপাদান থাকে যা ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। এর চেয়ে নিরাপদ বিকল্প হচ্ছে ঘরোয়া পদ্ধতি — যা প্রাকৃতিক, কার্যকর এবং সস্তা।

টম্যাটোর পেস্টে মিলবে প্রাকৃতিক জেল্লা

টম্যাটোতে আছে লাইকোপিন, যা ত্বকের ট্যান ও দাগছোপ কমায়।টম্যাটো কেটে সরাসরি মুখে ঘষে নিতে পারেন, অথবা বেসনের সঙ্গে টম্যাটোর পেস্ট মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন।১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল ও দাগহীন হবে।

কমলালেবুর খোসায় ত্বক পাবে নতুন প্রাণ

রোদে শুকনো কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো করে নিন। এর সঙ্গে হলুদ গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে ফেস স্ক্রাব তৈরি করুন।৫ মিনিট স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বককে নরম, মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।

হলুদ ও টকদইয়ের যুগলবন্দিতে মিলবে নিখুঁত ত্বক

হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ ব্রণ ও প্রদাহ কমায়, আর টকদইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বক এক্সফোলিয়েট করে।এই দুই উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে ফেসমাস্ক হিসেবে ব্যবহার করলে দাগছোপ কমবে এবং ত্বক পাবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।

ত্বকের যত্নে অভ্যাসেও আনুন পরিবর্তন

ঘরোয়া যত্নের পাশাপাশি পর্যাপ্ত জল পান, পুষ্টিকর খাবার ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করাও জরুরি। ত্বক শুকনো রাখবেন না এবং রাসায়নিক প্রসাধনী ব্যবহার যতটা সম্ভব কমিয়ে দিন।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিন প্রয়োজন হলে

যদি হরমোনজনিত বা চিকিৎসাগত কারণে ত্বকে পিগমেন্টেশন দেখা দেয়, তবে অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন। নিয়মিত যত্ন ও ঘরোয়া পদ্ধতি মিলিয়ে রাখলে সহজেই ত্বকের হারানো দীপ্তি ফিরে পাওয়া সম্ভব।

ত্বকের কালচে দাগ বা পিগমেন্টেশন নিয়ে চিন্তায় আছেন? ব্যয়বহুল প্রসাধনী নয়, ঘরোয়া উপাদানেই মিলবে নিখুঁত উজ্জ্বলতা। টম্যাটো, কমলালেবুর খোসা ও হলুদ-টকদই মিশ্রণেই ফিরিয়ে আনুন ত্বকের হারানো দীপ্তি।

Leave a comment