পাঞ্জাবে মিনিবাস দুর্ঘটনায় নিহত ৮, আহত ৩২

পাঞ্জাবে মিনিবাস দুর্ঘটনায় নিহত ৮, আহত ৩২

পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে দসুহা-হাজিপুর রোডে একটি দ্রুত গতির মিনিবাস উল্টে যায়। দুর্ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩২ জনের বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। তদন্ত চলছে।

Hoshiarpur Bus Accident: পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলায় সোমবার একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, যেখানে আট জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং ৩২ জনের বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাটি দসুহা উপ-বিভাগের সাগরা আড্ডার কাছে ঘটে, যখন একটি মিনিবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। বাসে মোট ৪০ জন যাত্রী ছিলেন।

দুর্ঘটনার স্থান এবং পরিস্থিতি

এই দুর্ঘটনাটি দসুহা থেকে হাজিপুরের দিকে যাওয়া প্রধান সড়কে ঘটেছে। বাসটি সাগরা আড্ডার কাছে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই চালক গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান, যার ফলে বাসটি উল্টে যায়। এলাকাটি গ্রামীণ অঞ্চলে অবস্থিত এবং রাস্তার অবস্থাও সন্দেহের কারণ।

ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ

দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ দ্রুত শুরু করা হয়। স্থানীয় গ্রামবাসীরাও পুলিশের সাথে মিলে আহতদের বাস থেকে বের করে আনেন এবং অ্যাম্বুলেন্সের সাহায্যে হাসপাতালে পাঠান।

আহতদের চিকিৎসা চলছে

আহত যাত্রীদের দ্রুত দসুহার সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হোশিয়ারপুর ও জলন্ধরে রেফার করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেশ কয়েকজন যাত্রীর অবস্থা গুরুতর।

পুলিশ আধিকারিকদের বক্তব্য

মুকেরিয়ানের ডিএসপি কুলবিন্দর সিং ভিরক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় বাসে প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বাসের গতি বেশি ছিল। ভিরক আরও জানান, দুর্ঘটনার কারণগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা, তাও দেখা হচ্ছে।

বেপরোয়া গতি দুর্ঘটনার কারণ

স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাসের গতি খুবই বেশি ছিল। বাসটি হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। কিছু যাত্রী জানিয়েছেন, বাসটি আগে থেকেই দ্রুত গতিতে চলছিল এবং বেশ কয়েকবার মোড়ে ঝাঁকুনি দিয়েছিল।

স্থানীয়দের সাহায্য

দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং আহতদের উদ্ধার করতে সাহায্য করেন। তাঁরা পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্সকে খবর দেন এবং প্রশাসন সেখানে পৌঁছানো পর্যন্ত ত্রাণ কাজে লেগে ছিলেন।

দুর্ঘটনার পর প্রশাসন নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। জেলা প্রশাসন নিহতদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এছাড়াও আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

Leave a comment