নির্মলা সীতারমন সংসদে নতুন আয়কর বিল ২০২৫ পেশ করেছেন। এই বিলটি পুরাতন আয়কর আইন ১৯৬১-এর স্থান নেবে। এতে নির্বাচন কমিটির প্রস্তাবগুলি অন্তর্ভুক্ত করে ট্যাক্স নিয়ম সরল করা হয়েছে।
Income Tax Bill 2025: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সংসদে নতুন আয়কর বিল ২০২৫ পেশ করেছেন। এই বিলটি আয়কর আইন ১৯৬১-এর স্থান নেবে। গত সপ্তাহে লোকসভায় এটি পেশ করা হয়েছিল, কিন্তু সংসদের কাজকর্ম স্থগিত হওয়ার কারণে বিলটি ফেরত নিতে হয়েছিল। এখন সরকার নির্বাচন কমিটির প্রস্তাবের ভিত্তিতে বিলে প্রয়োজনীয় সংশোধন করেছে এবং আজ এটি পুনরায় সংসদে পেশ করা হয়েছে।
আয়কর বিল ২০২৫-এর প্রয়োজন এবং উদ্দেশ্য
ভারতের বর্তমান আয়কর আইন ১৯৬১ সালে তৈরি হয়েছিল এবং এখন সময়ের দাবি হল এটিকে আধুনিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতি রেখে সংশোধন করা। নতুন আয়কর বিল ২০২৫ কর ব্যবস্থাকে সরল, স্বচ্ছ এবং করদাতাদের জন্য আরও সুবিধাজনক করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল ট্যাক্স নিয়মকে সহজ করা এবং কর ফাঁকি কমানো।
বিলটি ফেরত নেওয়ার পেছনের কারণ এবং সংশোধন
গত সপ্তাহে যখন বিলটি লোকসভায় পেশ করা হয়েছিল, তখন সংসদের কাজকর্ম আকস্মিকভাবে স্থগিত হয়ে যায়। এই কারণে সরকার বিলটি ফেরত নিয়ে নির্বাচন কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত প্রস্তাবগুলি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু জানিয়েছেন যে নতুন বিলটি আগের বিল থেকে বেশ আলাদা হবে এবং এতে অনেক উন্নতি করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিটির প্রস্তাব এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন
লোকসভার সিলেক্ট কমিটির अध्यक्षता বিজেপির সাংসদ বৈজয়ন্ত পান্ডা করেছিলেন। কমিটি ২৮৫টি প্রস্তাব দিয়েছে, যার মধ্যে আইনের ভাষাকে সরল করা, ড্রাফটিং-এর উন্নতি এবং ক্রস রেফারেন্সিং-এর পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রধান পরিবর্তনগুলির মধ্যে ট্যাক্স রিফান্ডের নিয়মে ছাড় দেওয়া, আন্তঃ-কর্পোরেট ডিভিডেন্ডসের বিধানকে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং শূন্য TDS শংসাপত্রের বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আয়কর বিল ২০২৫ করদাতাদের জন্য কী সুবিধা নিয়ে আসবে?
এই নতুন বিল থেকে করদাতারা ট্যাক্স নিয়মগুলি বুঝতে সহজ হবে। ট্যাক্স রিফান্ডের প্রক্রিয়া সরল হবে এবং ট্যাক্স ফাঁকির উপর নিয়ন্ত্রণ আরও ভাল হবে। কোম্পানিগুলি ট্যাক্স ছাড়ের ক্ষেত্রে স্পষ্টতা পাবে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপ উন্নত হবে।
সংসদে বিলের পরবর্তী প্রক্রিয়া
এখন বিলটি উভয় কক্ষে আলোচনা ও পাশ করা হবে। সরকার চায় যে এই বিলটি দ্রুত পাশ হোক যাতে কর ব্যবস্থায় सुधार করা যায় এবং অর্থনৈতিক विकासকে গতি দেওয়া যায়। সংসদের এই পদক্ষেপ দেশের ট্যাক্স কাঠামোর উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।