ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস: উদযাপন, শ্রদ্ধা ও নতুন সংকল্প

ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস: উদযাপন, শ্রদ্ধা ও নতুন সংকল্প

ভারত উৎসাহ ও গর্বের সাথে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবনে 'অ্যাট হোম' অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। লাল কেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 'মিশন সুদর্শন চক্র' ঘোষণা করেন এবং আত্মনির্ভর ভারতকে উন্নত ভারতের ভিত্তি হিসেবে বর্ণনা করেন।

নয়া দিল্লি: ভারত ১৫ই আগস্ট আড়ম্বরের সাথে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দিল্লির জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে ঐতিহ্যপূর্ণ 'অ্যাট হোম' অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সেনাপ্রধান এবং বিদেশি বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। লাল কেল্লা থেকে দেওয়া তাঁর ১২তম ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদি আত্মনির্ভর ভারতকে উন্নত ভারতের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করে 'মিশন সুদর্শন চক্র'-এর ঘোষণা করেন, যার লক্ষ্য ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতের সামরিক শক্তিকে আরও জোরদার করা।

৭৯তম স্বাধীনতা দিবসে দেশজুড়ে উদযাপন

ভারত উৎসাহ ও গর্বের সাথে ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি ভবনে ঐতিহ্যপূর্ণ 'অ্যাট হোম' অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান এবং বিদেশি রাষ্ট্রদূত সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, যেখানে ভারী বৃষ্টি সত্ত্বেও সেনা আধিকারিক ও মন্ত্রীদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে আরও বিশেষ করে তোলে।

জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

দিল্লির জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সাথে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এই সময় দুই মহিলা বায়ুসেনা আধিকারিক পুষ্পচক্র অর্পণ করে দেশের বীর জওয়ানদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানান।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জয় শেঠও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠান আবারও এই বার্তা দেয় যে ভারত তার শহীদদের ত্যাগ ও বলিদানকে কখনো ভুলতে পারবে না।

লাল কেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদির ১২তম ভাষণ

লাল কেল্লার প্রাচীর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ১২তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে 'আত্মনির্ভর ভারত'কে 'উন্নত ভারত'-এর ভিত্তি হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে রাজনৈতিক স্বাধীনতা যথেষ্ট নয়, বরং প্রতিটি ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা জরুরি যাতে ভারতের স্বাধীনতা অটুট থাকে।

প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশবাসীকে আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার এবং নিজেদের শক্তি নিজেরা তৈরি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন যে আমাদের এমন এক ভারত তৈরি করতে হবে যাকে কোনো শক্তি চ্যালেঞ্জ করতে না পারে।

মিশন সুদর্শন চক্রের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে

প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে 'মিশন সুদর্শন চক্র'-এর সূচনা করার কথা ঘোষণা করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পৌরাণিক অস্ত্রের দ্বারা অনুপ্রাণিত এই মিশন ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারতের সামরিক ক্ষমতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রাখে।

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন যে এই महत्वाकांक्षी পরিকল্পনার অধীনে ভারত যেকোনো বিপদের দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। এই উদ্যোগ দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত করার একটি প্রচেষ্টা।

রাষ্ট্রপতি মুর্মুর বার্তা

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি বলেন যে ভারত দারিদ্র্য এবং চ্যালেঞ্জের ঐতিহ্য থেকে বেরিয়ে এসে আজ আত্মনির্ভরতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

রাষ্ট্রপতি বিশ্বাস প্রকাশ করেন যে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত একটি উন্নত অর্থনীতি হিসেবে সারা বিশ্বের সামনে দাঁড়াবে। তিনি দেশবাসীকে একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার এবং আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার আহ্বান জানান।

Leave a comment