ভারত সরকার এআই উদ্ভাবনের জন্য একটি নতুন গভর্ন্যান্স কাঠামো চালু করেছে, যেখানে ব্যবহারকারীর সুরক্ষা, স্বচ্ছতা এবং নির্ভরযোগ্য প্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ৬৮ পৃষ্ঠার নির্দেশিকায় এআই মডেলের ঝুঁকি মূল্যায়ন, ডেটা ডকুমেন্টেশন এবং নিরাপত্তা পরীক্ষার মতো প্রয়োজনীয়তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই কাঠামো ভারতে এআই প্রযুক্তির নিরাপদ বিকাশ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি নিশ্চিত করে।
এআই গভর্ন্যান্স ফ্রেমওয়ার্ক: ভারত সরকার দেশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য বিকাশের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। MeitY এবং প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজার অধ্যাপক অজয় কুমার সুদের সহযোগিতায় প্রস্তুতকৃত এই ৬৮ পৃষ্ঠার রিপোর্টে এআই মডেলের ঝুঁকি মূল্যায়ন, ডেটা সোর্স ডকুমেন্টেশন এবং ব্যবহারকারীর সুরক্ষার উপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগটি স্বাস্থ্যসেবা, আর্থিক পরিষেবা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মতো উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে এআই প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে।
নতুন নির্দেশিকায় ব্যবহারকারীর সুরক্ষা এবং নির্ভরযোগ্য এআই-এর উপর জোর
ভারত সরকার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) উদ্ভাবনের জন্য একটি বিস্তারিত গভর্ন্যান্স কাঠামো প্রকাশ করেছে। ৬৮ পৃষ্ঠার নির্দেশিকায় ভারতে বিকশিত এআই মডেল এবং প্রযুক্তির জন্য নিয়মাবলী ও নিরাপত্তা মানদণ্ডের একটি বিস্তারিত রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়েছে। MeitY এবং ভারতের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজার অধ্যাপক অজয় কুমার সুদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই কাঠামোটি প্রকাশ করেছেন। এর উদ্দেশ্য হল ভারতে এআই উদ্ভাবনকে নিরাপদ, স্বচ্ছ এবং নির্ভরযোগ্য করে তোলা।

এআই কাঠামোর মূল দিকগুলি
কাঠামো অনুযায়ী, ভারতে এআই সিস্টেমগুলি মানবাধিকার, সুরক্ষা এবং স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নির্ভরযোগ্য হওয়া উচিত। এতে ঝুঁকি-ভিত্তিক পদ্ধতি (risk-based approach) অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে যাতে সম্ভাব্য ক্ষতি আগে থেকে পরিমাপ করা যায়। ভারতে কোনো এআই মডেল স্থাপন করার আগে ঝুঁকি মূল্যায়ন, ডেটা সোর্স ডকুমেন্টেশন এবং নিরাপত্তা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক হবে। পাশাপাশি, অভিযোগ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া (grievance redress mechanism) এবং রিপোর্টিং চ্যানেলও রাখতে হবে।
অধ্যাপক অজয় কুমার সুদের মতে, এই কাঠামোটি এআই-এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে বরং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে এবং ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা, আর্থিক পরিষেবা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মতো উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে এর প্রভাব বিশেষভাবে বিবেচনা করা হবে।
এআই গভর্ন্যান্স গ্রুপ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব
কাঠামোতে একটি এআই গভর্ন্যান্স গ্রুপ (AIGG) গঠনেরও প্রস্তাব রয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় সরকার, প্রযুক্তি নীতি বিশেষজ্ঞ এবং এআই সেফটি ইনস্টিটিউট অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন মন্ত্রক এবং পাবলিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে এটি কার্যকর করা হবে। ভারতে এআই উদ্ভাবনকে উন্নত করতে এবং বৈশ্বিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই নির্দেশিকাগুলির মাধ্যমে সরকার এআই প্রযুক্তিতে নির্ভরযোগ্যতা, সুরক্ষা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চায়। এর লক্ষ্য হল দেশে এআই-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং পরিকাঠামো ও সংস্থানগুলিকে উন্নত করা।













