আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার কারণে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক চাপ থাকা সত্ত্বেও ভারতের ইলেকট্রনিক্স রপ্তানি দ্রুত বেড়েছে। FY26-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে এই রপ্তানি 45% বৃদ্ধি পেয়ে 12.4 বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। স্মার্টফোন রপ্তানি এতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে, যেখানে অ-মোবাইল পণ্যগুলিও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
Electronics Export: আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আরোপিত শুল্ক নিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলে অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হলেও, ভারত ইলেকট্রনিক্স রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় সাফল্য অর্জন করেছে। অর্থবর্ষ 2025-26 এর প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল থেকে জুন 2025) ভারত থেকে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের রপ্তানি 45% বৃদ্ধি পেয়ে 12.4 বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল 8.43 বিলিয়ন ডলার। এই তথ্য ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (ICEA) দ্বারা জানানো হয়েছে।
স্মার্টফোন রপ্তানির ইঞ্জিন
এই রপ্তানি বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় অবদান মোবাইল ফোন রপ্তানির, যেখানে বার্ষিক ভিত্তিতে 55% এর জোরালো উল্লম্ফন দেখা গেছে। FY26-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে মোবাইল ফোনের রপ্তানি 7.6 বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা FY25-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে 4.9 বিলিয়ন ডলার ছিল। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় যে ভারত এখন বিশ্বব্যাপী মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসছে।
স্মার্টফোন কোম্পানিগুলি ভারতে উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে এবং এর পেছনে PLI ( প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ) স্কিমের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অ্যাপেল, স্যামসাংয়ের মতো কোম্পানিগুলি ভারত থেকে তাদের প্রোডাক্ট আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্য এশিয়া এবং আফ্রিকার বাজারে পাঠিয়েছে।
गैर-मोबाइल उत्पादों का भी बढ़ा निर्यात
মোবাইল ফোন ছাড়াও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্যের শ্রেণিতেও দ্রুত বৃদ্ধি দেখা গেছে। FY26-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে অ-মোবাইল ইলেকট্রনিক্সের রপ্তানি 36% বৃদ্ধি পেয়ে 6.53 বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা FY25-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে 4.8 বিলিয়ন ডলার ছিল।
এই পণ্যগুলির মধ্যে সোলার মডিউল, স্যুইচিং ও রাউটিং সরঞ্জাম, চার্জার, অ্যাডাপ্টার এবং অন্যান্য কম্পোনেন্ট অন্তর্ভুক্ত। এটি দেখায় যে ভারত এখন কেবল মোবাইল নির্মাণেই নয়, বরং ইলেকট্রনিক্সের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও বিশ্ব প্রতিযোগিতায় শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
ICEA ने बताया 'बड़ी उपलब्धि'
ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (ICEA)-এর চেয়ারম্যান পঙ্কজ মহেন্দ্রু বলেছেন যে ভারতের এই অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি দেখায় যে দেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্প বিশ্ব মঞ্চে তার প্রভাব বিস্তার করছে।
তিনি জানান যে এই গতি বজায় রাখা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হবে। রপ্তানির এই পরিসংখ্যান উৎসাহব্যঞ্জক হলেও, আসল কাজ এখন শুরু হয় — যেখানে সাপ্লাই চেইনকে আরও মজবুত করা এবং ভ্যালু অ্যাডিশন বাড়ানো অন্তর্ভুক্ত।
FY26 में 50 अरब डॉलर छू सकता है आंकड़ा
ICEA-এর ধারণা, যদি বর্তমান গতি বজায় থাকে, তবে FY26-এর শেষে ভারতের ইলেকট্রনিক্স রপ্তানি 46 থেকে 50 বিলিয়ন ডলারের মধ্যে পৌঁছতে পারে। FY25-এ এই সংখ্যা ছিল 38.6 বিলিয়ন ডলার, যেখানে FY24-এ ছিল 29.1 বিলিয়ন ডলার।
এই ক্রমাগত উন্নতির পেছনে সরকারের নীতি, মেক ইন ইন্ডিয়া অভিযান এবং বিশ্বব্যাপী কোম্পানিগুলির ভারতে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট স্থাপন-এর মতো কারণগুলি প্রধান বলে মনে করা হচ্ছে।
वैश्विक दबाव के बावजूद भारत का आत्मविश्वास
ট্রাম্প কর্তৃক প্রস্তাবিত শুল্ক এবং বাণিজ্যিক বাধা নিয়ে ভারতীয় শিল্পে উদ্বেগ থাকলেও, তা সত্ত্বেও রপ্তানির এই পরিসংখ্যান ভারতের কৌশলগত প্রস্তুতিকে दर्शाता।
ভারত আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলিতে তার বাণিজ্যিক সম্পর্ককে শক্তিশালী রেখেছে এবং তার রপ্তানি পণ্যের গুণমান, ডেলিভারি সময় এবং সাশ্রয়ী মূল্যের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।