শুভমান গিলের নেতৃত্বে ভারতীয় দল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্ট ম্যাচ ৬ রানে জিতে সিরিজ ২-২ এ ড্র করেছে। এই মোকাবিলা শুধুমাত্র স্কোরলাইনের দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, বরং এটি ছিল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) ২০২৫-২৭ এর নতুন চক্রে ভারতের প্রথম সিরিজ।
ডব্লিউটিসি পয়েন্টস টেবিল: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ওভাল টেস্টে রুদ্ধশ্বাস ৬ রানের জয়ের মাধ্যমে ভারত শুধুমাত্র পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-২ এ সমতায় ফেরায়নি, বরং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) ২০২৫-২৭ চক্রেও নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে। শুভমান গিলের নেতৃত্বে এটি ছিল এই মরসুমে ভারতের প্রথম টেস্ট সিরিজ, এবং দল প্রত্যাশার চেয়েও ভালো পারফর্ম করেছে।
ডব্লিউটিসি পয়েন্টস টেবিলে ভারতের বড় লাভ
ওভাল টেস্টের আগে ভারত ডব্লিউটিসি তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল, কিন্তু এই জয়ের পরে তারা তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। বর্তমানে ভারতের পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে:
- ২টি জয়
- ২টি পরাজয়
- ১টি ড্র
এর সাথে ২৮ পয়েন্ট রয়েছে এবং পয়েন্টস পার্সেন্টেজ (পিসিটি) ৪৬.৬৭।
ডব্লিউটিসি ২০২৫-২৭ এর শীর্ষ ৩ দল
- অস্ট্রেলিয়া - ৩৬ পয়েন্ট (পিসিটি - ১০০.০০)
- শ্রীলঙ্কা - ১৮ পয়েন্ট (পিসিটি - ৭৫.০০)
- ভারত - ২৮ পয়েন্ট (পিসিটি - ৪৬.৬৭)
- ইংল্যান্ড - ২৬ পয়েন্ট (পিসিটি - ৪৩.৩৩)
গিলের নেতৃত্বে ভারতের আত্মবিশ্বাসী পারফরম্যান্স
এই প্রথম শুভমান গিলকে লাল বলের ফরম্যাটে ভারতের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল। বেশিরভাগ ক্রিকেট বিশ্লেষক এই সফরে ভারতকে দুর্বল মনে করেছিলেন, কিন্তু গিলের নেতৃত্বে একটি তরুণ ভারতীয় দল প্রত্যাশার চেয়েও ভালো পারফর্ম করে সিরিজ ড্র করে। ভারত প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২২ রান করে, যেখানে ইংল্যান্ড জবাবে ২৪৭ রান করে ২৩ রানের লিড নেয়। এরপর, ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯৬ রান করে ইংল্যান্ডের সামনে ৩৯৭ রানের বিশাল লক্ষ্য রাখে।
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে হ্যারি ব্রুক (১১১ রান) এবং জো রুট (১০৫ রান) ভারতকে হারের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ দিনে ভারতীয় বোলাররা দারুণ পারফর্ম করেন।
সিরাজ এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ নায়ক হয়ে ওঠেন
পঞ্চম দিনে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য ৩৫ রানের প্রয়োজন ছিল এবং তাদের চারটি উইকেট বাকি ছিল। এখান থেকে মোহাম্মদ সিরাজ এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ভারতীয় দলকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন:
- সিরাজ: দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট, সামগ্রিকভাবে ম্যাচে ৯ উইকেট
- প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ: দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট, সামগ্রিকভাবে ৮ উইকেট
সিরাজ যখন অ্যাটকিনসনকে ইয়র্কারে ক্লিন বোল্ড করেন, তখন ভারতীয় খেলোয়াড় এবং দর্শকদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়। টেস্ট ইতিহাসে এটি ভারতের সবচেয়ে কম রানের ব্যবধানে জয় — মাত্র ৬ রানে। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানের জয়।