ভারতীয় বায়ুসেনা আগামী বছরগুলিতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত হবে, যা চীন ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে। অপারেশন সিনদুর প্রমাণ করেছে যে বায়ুসেনা সীমান্ত অতিক্রম না করেই শত্রুদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে পারে। নতুন পরিকল্পনায় স্ট্র্যাটোস্ফেরিক এয়ারশিপ, হাই-অ্যালটিচিউড ড্রোন, UCAV এবং লেজার সিস্টেমের মতো প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
Indian Air Force: ভারতের বায়ুসেনা আগামী দশকে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও প্রযুক্তি দিয়ে নিজেদের শক্তি বহু গুণ বাড়াতে চলেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে ১০০ টিরও বেশি HALE এবং VTOL এয়ারক্রাফ্ট, স্ট্র্যাটোস্ফেরিক এয়ারশিপ, UCAV, হাই এনার্জি লেজার এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েপন সিস্টেমের মতো প্রযুক্তি কেনার পরিকল্পনা করেছে। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো চীন ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সামনে কৌশলগত শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখা এবং সীমান্ত অতিক্রম না করেই শত্রুদের ঘাঁটি কার্যকরভাবে নিশানা করা। অপারেশন সিনদুরের মতো সাম্প্রতিক মহড়াগুলি ইতিমধ্যেই এই সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।
স্ট্র্যাটোস্ফেরিক এয়ারশিপ এবং হাই-টেক ড্রোন
এই পরিকল্পনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো স্ট্র্যাটোস্ফেরিক এয়ারশিপ, যাদের সংখ্যা অন্তত কুড়িটি হবে। এই এয়ারশিপগুলি আকাশে ভেসে থেকে রিয়েল-টাইম গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ এবং যোগাযোগের কাজ করবে। এছাড়াও, বায়ুসেনার ৩০০ টিরও বেশি হাই-অ্যালটিচিউড ড্রোন, ৭৫ টি হাই-অ্যালটিচিউড সিউডো স্যাটেলাইট এবং ৫ টি মাল্টিব্যান্ড রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সেন্সর স্যাটেলাইটের প্রয়োজন হবে।
এই সরঞ্জামগুলি বায়ুসেনাকে অবিচ্ছিন্ন নজরদারি এবং দূরবর্তী পরিচালনা করার ক্ষমতা দেবে। ড্রোন এবং স্যাটেলাইটগুলি ৩০,০০০ ফুটের উপরে একটানা উড়তে পারবে, যার ফলে শত্রুদের কার্যকলাপের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা সম্ভব হবে।
উন্নত এয়ারক্রাফ্ট এবং লেজার সিস্টেম
বায়ুসেনার জন্য ১০০ টিরও বেশি HALE এবং VTOL এয়ারক্রাফ্ট, হাই এনার্জি লেজার সিস্টেম এবং স্টিলথ আনম্যান্ড কমব্যাট এরিয়াল ভেহিকেল (UCAV) এরও পরিকল্পনা রয়েছে। UCAV গুলি শত্রুদের সীমান্তে মানব ক্রু ছাড়াই মিশন সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। এছাড়াও, হাই পাওয়ার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েপন সিস্টেম, ২৫০ টিরও বেশি অ্যান্টি-সোয়ার্ম ড্রোন সিস্টেম এবং ২০ টির বেশি ডিরেক্টেড এনার্জি ওয়েপন অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই আধুনিক অস্ত্রগুলি ভারতকে মহাকাশ এবং আকাশ থেকে যুদ্ধ করার ক্ষমতা দেবে। বায়ুসেনার এই প্রস্তুতি আগামী দশক এবং তার পরেও দেশের সুরক্ষার এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ভারতীয় বায়ুসেনা আগামী বছরগুলিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও অস্ত্রের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি বহু গুণ বাড়াতে চলেছে। অপারেশন সিনদুরের মতো মহড়া এবং নতুন পরিকল্পনা নির্দেশ করে যে ভারতের বায়ুসেনা এখন শত্রুদের সীমান্ত অতিক্রম না করেই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে। আগত সময়ে এই সরঞ্জামগুলি কেবল প্রতিরক্ষা ক্ষমতাই বাড়াবে না, দেশের নিরাপত্তা এবং কৌশলগত শ্রেষ্ঠত্বও নিশ্চিত করবে।