কর্ণাটকের মন্ত্রী জমির আহমেদ বিতর্কে: আত্মীয়কে সাহায্য চেয়ে পুলিশের কাছে অনুরোধের অডিও ভাইরাল

কর্ণাটকের মন্ত্রী জমির আহমেদ বিতর্কে: আত্মীয়কে সাহায্য চেয়ে পুলিশের কাছে অনুরোধের অডিও ভাইরাল

কর্ণাটকের মন্ত্রী জমির আহমেদের একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তিনি পুলিশের কাছে এক আত্মীয়কে সাহায্য করার জন্য অনুরোধ করছেন। বিরোধী দল এটিকে নৈতিকতা এবং প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

Karnataka: কর্ণাটকের আবাসন মন্ত্রী জমির আহমেদ খান আবারও বিতর্কের মুখে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার একটি অডিও ক্লিপ (audio clip) ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে তিনি এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছে তার আত্মীয়কে সাহায্য করার অনুরোধ করছেন। এই মামলাটি পেরেসান্দ্রা পুলিশ থানা (Peresandra Police Station)-য় নথিভুক্ত জালিয়াতি (fraud) সংক্রান্ত, যেখানে কৃষকরা কিছু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ভুট্টা (maize) কেনার পর টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ এনেছেন।

জালিয়াতির মামলার সম্পূর্ণ বিবরণ

পেরেসান্দ্রা পুলিশ থানায় দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, স্থানীয় কৃষকরা হায়দ্রাবাদের ব্যবসায়ী আবদুল রজ্জাক, আকবর পাশা এবং নাসির আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তারা ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ভুট্টা কিনেছিলেন, কিন্তু পুরো টাকা পরিশোধ করেননি। এই মামলায় ভারতীয় দণ্ডসংহিতা (BNS)-এর ধারা ৩১৮ এর অধীনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কৃষকদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা অর্থ পরিশোধের নামে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু টাকা ফেরত দেননি।

অডিওতে মন্ত্রী জমির আহমেদ খান কী বলেছেন

এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভাইরাল হওয়া অডিওতে মন্ত্রী জমির আহমেদ পুলিশ কর্মকর্তা জগদীশ রেড্ডিকে বলছেন, “হ্যালো ভাই, হায়দ্রাবাদ থেকে কেউ একজন আছেন। আকবর পাশা আমার আত্মীয়। আমি শুনেছি তাকে কোনো আর্থিক বিষয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।” এরপর তিনি বলেন, “হ্যাঁ, সে টাকা নিয়েছিল এটা সত্যি কিন্তু যেভাবে দাবি করা হচ্ছে তা তেমন নয়। দয়া করে তাকে একটু সাহায্য করুন ভাই। সে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ। কী করা যেতে পারে?”

পুলিশ কর্মকর্তার উত্তর

অডিওতে পুলিশ কর্মকর্তা পিএসআই জগদীশ রেড্ডি বলছেন, “আমরা তাদের আগেই মামলাটি মীমাংসা করার সুযোগ দিয়েছি। যদি উভয় পক্ষ রাজি হয় এবং বকেয়া পরিশোধ করা হয় তবে মামলা বন্ধ করা যেতে পারে। এটি ইগো (ego)-এর ব্যাপার এবং কোনো পক্ষই মানতে রাজি নয়।” এর উত্তরে মন্ত্রী বলেন, “দয়া করে তাদের আরও একটি সুযোগ দিন, কয়েক দিনের সময় দিন।” এরপর কর্মকর্তা জানান যে মামলাটি মীমাংসা করার জন্য উভয় পক্ষের সম্মতি অপরিহার্য।

Leave a comment