মেমারিতে রেল ইঞ্জিনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা আতঙ্কে যাত্রীরা

মেমারিতে রেল ইঞ্জিনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা আতঙ্কে যাত্রীরা

ইঞ্জিনের ভিতরে আটকে রেলকর্মীর হাত

পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি স্টেশনে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর দুর্ঘটনা। শনিবার সকাল ৭টা ২৬ মিনিটে বর্ধমান-হাওড়া ডাউন ৩৭৮২৪ নং লোকালের ইঞ্জিনের ভিতরে আটকে যায় এক রেলকর্মীর হাত। ঘটনাস্থল ছিল স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। ইঞ্জিনের রুমে কোনও বস্তু তুলতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে, মুহূর্তে কর্মীর হাত আটকে যায় ভারী যন্ত্রাংশের ভিতরে।

দুই ঘণ্টা থমকে গেল ট্রেন চলাচল

ঘটনার পরপরই ট্রেন দীর্ঘক্ষণ স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পরেও কর্মীর হাত বের করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে প্রায় দুই ঘণ্টা ওই লোকাল ট্রেনটি মেমারিতেই আটকে থাকে। যাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে রেল কর্তৃপক্ষ বিকল্প ট্রেনের ব্যবস্থা করে, যাতে আটকে থাকা যাত্রীদের অন্য গন্তব্যে পাঠানো যায়।

সহকর্মীদের প্রাণপণ উদ্ধার অভিযান

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অন্যান্য রেলকর্মীরা ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে প্রায় এক ঘণ্টার তৎপরতার পর কর্মীর হাত মুক্ত করা সম্ভব হয়। চারপাশে তখন উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠার বাতাবরণ, সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে রেলকর্মী—সকলেই চিন্তিত ছিলেন কর্মীর শারীরিক অবস্থার জন্য।

ইঞ্জিন রুমে কীভাবে ঘটল বিপত্তি

রেল সূত্রে খবর, ইঞ্জিনের রুমে ওই কর্মী মেরামতির কাজ করছিলেন। হঠাৎ চোখে পড়ে ভেতরে কিছু পড়ে আছে, সেটি তুলতে গিয়েই তাঁর হাত ভারী মেশিনারির ভিতরে আটকে যায়। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে তিনি আপাতত বিপদমুক্ত।

স্টেশনজুড়ে কৌতূহল ও আতঙ্ক

ঘটনার সময় বহু যাত্রী এবং স্থানীয় মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমান। রক্তাক্ত ইঞ্জিন ও রেলকর্মীর যন্ত্রণাদগ্ধ চেহারা দেখে অনেকে আঁতকে ওঠেন। এই ঘটনায় রেল নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশ্নও আবার সামনে চলে এসেছে।

ট্রেন ফের চালু, তবে প্রশ্ন রইল নিরাপত্তা নিয়ে

প্রায় দুই ঘণ্টার বিলম্বের পর ইঞ্জিন ঠিকঠাক করে ট্রেনটি পুনরায় হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে যাত্রীদের মনে নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকে যায়। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a comment