১লা অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে ভারতীয় শেয়ার বাজারে বড়সড় পতন দেখা যায়। আমেরিকার পক্ষ থেকে নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর ওষুধ কোম্পানিগুলোর শেয়ারের উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়। এর সরাসরি প্রভাব বাজারের গতির উপর পড়ে এবং সেনসেক্স ও নিফটি, উভয় প্রধান সূচক পতনের সাথে বন্ধ হয়। দিনভর অস্থিরতার পর বিনিয়োগকারীরা বড় উদ্বেগের সম্মুখীন হন।
সেনসেক্স এবং নিফটির ধাক্কা
আজ বাজারের শুরুটা কিছুটা স্থিতিশীল ছিল, কিন্তু দুপুর নাগাদ ওষুধ সেক্টরে বিক্রি বেড়ে যায়। এর ফলে সেনসেক্স ০.৭২ শতাংশ অর্থাৎ ৫৮৫.৬৭ পয়েন্ট কমে ৮০,৫৯৯.৯১-এর স্তরে বন্ধ হয়। অন্যদিকে নিফটি ০.৮২ শতাংশ অর্থাৎ ২০৩ পয়েন্ট কমে ২৪,৫৬৫.৩৫-এ বন্ধ হয়। এটি लगातार দ্বিতীয় দিন যখন বাজার লাল দাগে বন্ধ হল।
ফার্মা সেক্টরের উপর মার্কিন শুল্কের চাপ
বাজারে পতনের সবচেয়ে বড় কারণ ছিল আমেরিকার নতুন শুল্ক নীতি, যা ওষুধ সেক্টরের উপর বিশেষভাবে প্রভাব ফেলেছিল। মার্কিন সরকার কিছু ওষুধ এবং স্বাস্থ্য সরঞ্জামের উপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা করে, যার ফলে ভারতের ওষুধ কোম্পানিগুলোর উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। বিনিয়োগকারীরা ওষুধ কোম্পানিগুলোর শেয়ার থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে শুরু করে এবং দেখতে দেখতে এই সেক্টরে বড় পতন ঘটে।
এনএসইতে বেশি শেয়ার লাল দাগে
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ অর্থাৎ এনএসইতে আজ মোট ৩,০৪০টি শেয়ারের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৭৮৫টি শেয়ার সবুজ দাগে বন্ধ হয়েছে, যেখানে ২,১৭৩টি শেয়ার পতন के সাথে দিন শেষ করেছে। ৮২টি শেয়ার এমনও ছিল যেগুলোর দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
আজকের শীর্ষ লাভকারী শেয়ার
বাজারের পতনের মধ্যেও কিছু নির্বাচিত শেয়ার দৃঢ়তা দেখিয়েছে এবং ভালো ফল করেছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল নাম ছিল ট্রেন্ট, এশিয়ান পेंट्स, এইচইউএল, নেসলে এবং হিরো মটোকর্প।
- ট্রেন্ট লিমিটেডের শেয়ার ১৬২ টাকা বেড়ে ৫,১৮০ টাকায় বন্ধ হয়েছে। এটি আজকের সবচেয়ে বড় লাভকারী ছিল।
- এশিয়ান পेंट्स-এর শেয়ার ৩৪.৯০ টাকা বেড়ে ২,৪৩১ টাকায় বন্ধ হয়েছে।
- এইচইউএল অর্থাৎ হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেডের শেয়ার ৩২.৫০ টাকা বেড়ে ২,৫৫৩.৭০ টাকার স্তরে পৌঁছেছে।
- নেসলে ইন্ডিয়ার শেয়ার ২৮.৮০ টাকা বেড়ে ২,২৭৬.৫০ টাকায় বন্ধ হয়েছে।
- হিরো মটোকর্পের শেয়ারও ৫০.৯০ টাকা বেড়ে ৪,৩১১.৬০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে।
এই কোম্পানিগুলোতে আসা तेजी संकेत দেয় যে ভোক্তা পণ্য এবং অটো সেক্টর আপাতত বিনিয়োগকারীদের স্বস্তি দিচ্ছে।
আজকের শীর্ষ লোকসानी শেয়ার
অন্যদিকে, ওষুধ এবং ধাতু সেক্টরের কিছু दिग्गज শেয়ারে भारी পতন হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি नुकसान হয়েছে সান ফার্মা, ড. রেড্ডিস, সিপলা, আদানি এন্টারপ্রাইজ এবং টাটা স্টিলের।
- সান फार्मा-র শেয়ার ৭৭ টাকা কমে ১,৬২৯.৭০ টাকায় বন্ধ হয়েছে।
- ড. রেড্ডিস ল্যাবসের শেয়ার ৪৯.৭০ টাকা কমে ১,২২০.৬০ টাকায় এসেছে।
- সিpla-র শেয়ারে ৫১.৮০ টাকার পতন হয়েছে এবং এটি ১,৫০২.৮০ টাকায় বন্ধ হয়েছে।
- আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার ৭৯.৮০ টাকা কমে ২,৩৫0.৯০ টাকায় বন্ধ হয়েছে।
- টাটা স্টিলের শেয়ারও ৪.৯৩ টাকা কমে ১৫৩.০১ টাকা পর্যন্ত এসেছে।
এই পতনের কারণে ওষুধ সেক্টরের পাশাপাশি ধাতু শেয়ারেও উদ্বেগের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
বাজারের গতিবিধির উপর প্রভাব ফেলা অন্যান্য কারণ
শুল্কের খবর ছাড়াও বিশ্ব বাজারেও तनावের পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। আমেরিকা এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে তৈরি অনিশ্চয়তার প্রভাব এশীয় বাজারগুলোর উপরও পড়ছে। এর সাথে সাথে ডলারের मजबूती এবং অপরিশোধিত তেলের দামের অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস কিছুটা দুর্বল করেছে।
মিডক্যাপ ও স্মলক্যাপের উপরও চাপ
বড় কোম্পানিগুলোর শেয়ার ছাড়াও মিডক্যাপ ও স্মলক্যাপ ইনডেক্সের উপরও চাপ দেখা গেছে। বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়িয়ে নিরাপদ শেয়ারের দিকে ঝুঁকতে দেখা গেছে। ছোট ও মাঝারি শেয়ারে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় এই শ্রেণীর ইনডেক্সেও পতন दर्ज করা হয়েছে।
সেক্টর অনুযায়ী प्रदर्शनের উপর নজর
আজকের कारोबारी অধিবেশনে কিছু সেক্টর ही সবুজ দাগে টিকে থাকতে পেরেছে। এফএমসিজি, অটো এবং কনজিউমার ডিউরেবলসে সামান্য কিছু দৃঢ়তা দেখা গেছে, কিন্তু फार्मा, हेल्थकेয়ার, মেটাল এবং রিয়েল এস্টেট সেক্টর বাজারকে नीचे টেনেছে।
- ফার্মা ইনডেক্সে ৩ শতাংশের বেশি পতন হয়েছে।
- মেটাল ইনডেক্স প্রায় ১.৫ শতাংশ কমেছে।
- এফএমসিজি সেক্টর কিছুটা সামলাতে পেরেছে, কিন্তু तेजी খুবই সীমিত ছিল।
বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মনোভাব
এফআইআই অর্থাৎ বিদেশী संस्थागत বিনিয়োগকারীদের মনোভাবও এখন सतर्क দেখা যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ঘটনার কারণে তারা তাদের পোর্টফোলিওতে संतुलन বজায় রাখছে। আজকের দিনেও বাজারে বিক্রির संकेत विदेशी বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে পাওয়া গেছে।