ইন্দোরের অটল বিহারী বাজপেয়ী মহাবিদ্যালয়ে NSUI কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে ঘাস কাটার দাবিতে মহিলা অধ্যক্ষের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে জঙ্গল ঘাস ছড়িয়ে দেয়। এই ঘটনার পর প্রশাসনিক বিতর্ক বেড়েছে এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ইন্দোর NSUI বিক্ষোভ: সোমবার অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারি কলা ও বাণিজ্য মহাবিদ্যালয়ে NSUI-এর কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে গজিয়ে ওঠা জঙ্গল ঘাস কাটার দাবিতে মহিলা অধ্যক্ষের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঘাস ছড়িয়ে দেয়। NSUI নেতা अमन পাটওয়ারি জানান যে, বারবার কর্তৃপক্ষকে সমস্যা জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যার কারণে ক্ষুব্ধ ছাত্রনেতারা এই কঠিন পদক্ষেপ নেয়। ঘটনার পর কলেজ প্রশাসন ও NSUI-এর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে, এবং পুলিশ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
অধ্যক্ষের ঘরে দরজা ভাঙা এবং জঙ্গল ঘাস ছড়ানো
ইন্দোরের অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারি কলা ও বাণিজ্য মহাবিদ্যালয়ে NSUI কর্মীরা জঙ্গল ঘাস কাটার लंबित দাবি নিয়ে এক অভিনব প্রতিবাদ দেখায়। সোমবার ছাত্রনেতারা কলেজের মহিলা অধ্যক্ষের অফিসের দরজা ভেঙে ভেতরে জঙ্গল ঘাস ছড়িয়ে দেয়, যার ফলে পুরো চত্বরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ NSUI নেতা अमन পাটওয়ারি সহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
ছাত্রনেতাদের অভিযোগ, তারা বহুবার কলেজ প্রশাসনকে বিশেষ করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মূর্তির আশেপাশের জঙ্গল ঘাস সরানোর দাবি জানিয়েছে, কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই ক্ষোভের কারণে তারা নিজেরাই জঙ্গল ঘাস উপড়ে অধ্যক্ষের ঘরে রেখে দেয়। যখন অধ্যক্ষ প্রতিবাদস্বরূপ তার অফিসের দরজায় তালা লাগিয়ে দেন, তখন ছাত্রনেতারা এই বিতর্কিত পদক্ষেপ নেয়, যার ফলে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পুলিশের তদন্ত এবং অভিযোগ
ইন্দোরের অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারি কলা ও বাণিজ্য মহাবিদ্যালয়ে NSUI কর্মীদের দ্বারা অধ্যক্ষের ঘরে ভাঙচুরের ঘটনার পুলিশ তদন্ত চলছে। ভंवरকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজকুমার যাদব জানান, কলেজের কর্মচারীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, ভাঙচুর এবং অভদ্র আচরণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ ও সাক্ষীদের বয়ানের সাহায্যে ঘটনার গভীরতা দিয়ে তদন্ত করছে।
মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডঃ মমতা চন্দ্রশেখর এই ঘটনাকে ‘শিক্ষার মন্দিরের কলঙ্ক’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি জানান, ঘটনার সময় তিনি কলেজে ছিলেন না, কিন্তু ফিরে এসে দেখেন তার ঘরে জঙ্গল ঘাস ছড়ানো। তিনি বলেন যে, কিছু অধ্যাপক বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ছাত্ররা দুর্ব্যবহার করে লোহার রড দিয়ে দরজা ভেঙে দেয়। অধ্যক্ষ আরও স্পষ্ট করে জানান যে, জঙ্গল ঘাস কাটার নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।