গভীর সমুদ্রে অভিযান: ইসরোর ঐতিহাসিক সাফল্য, ৬০০০ মিটার গভীরে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি

গভীর সমুদ্রে অভিযান: ইসরোর ঐতিহাসিক সাফল্য, ৬০০০ মিটার গভীরে মানুষ পাঠানোর প্রস্তুতি

ভারত গভীর সমুদ্রে গবেষণা ও অনুসন্ধানের দিকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের প্রধান মহাকাশ সংস্থা ISRO ‘গভীর সমুদ্র মিশন’-এর অধীনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে। ৭০০টির বেশি ওয়েল্ড পরীক্ষার পর একটি অত্যন্ত জটিল ওয়েল্ডিং প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করেছে তারা।

নয়াদিল্লি: ভারত গভীর সমুদ্র অনুসন্ধানের দিকে একটি ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) ৭০০টির বেশি ওয়েল্ড পরীক্ষার পর সমুদ্রের পৃষ্ঠ থেকে ৬,০০০ মিটার (৬ কিলোমিটার) গভীরে মানুষ নিয়ে যেতে সক্ষম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত বাধা অতিক্রম করেছে। এই কৃতিত্ব সমুদ্রযান মিশনের জন্য নির্ণায়ক প্রমাণিত হচ্ছে, যা ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার আশা করা হচ্ছে।

'সমুদ্রযান' কী?

‘সমুদ্রযান’ ভারত সরকারের ‘ডিপ ওশান মিশন’-এর একটি প্রধান অংশ, যা पृथ्वी বিজ্ঞান मंत्रालय (MoES)-এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। এই মিশনের উদ্দেশ্য হল সমুদ্রের গভীরতায় খনিজ সম্পদ, জীববৈচিত্র্য এবং ভৌগোলিক কাঠামো অধ্যয়ন করা। এই প্রকল্পের অধীনে, ভারত একটি মানব-নিয়ন্ত্রিত যান (Human Occupied Vehicle - HOV) তৈরি করছে, যা সমুদ্রের পৃষ্ঠ থেকে ৬,০০০ মিটার নীচে গিয়ে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান করতে পারবে।

MATSYA-6000: ভবিষ্যতের গভীরতার বাহক

এই মিশনের অধীনে তৈরি করা HOV-টির নাম MATSYA-6000। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল একটি টাইটানিয়াম দিয়ে তৈরি গোলাকার ক্রু কম্পার্টমেন্ট, যা ইসরোর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার (VSSC) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি (NIOT) একসঙ্গে তৈরি করেছে। এই গোলকের ব্যাস ২,২৬০ মিমি এবং এর দেওয়ালের পুরুত্ব ৮০ মিমি। 

এটি ৬০০ বার পর্যন্ত জলের চাপ (pressure) এবং -৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সহ্য করতে সক্ষম। এই শক্তিশালী ডিজাইন সমুদ্রের গভীরতায় মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

চ্যালেঞ্জিং ছিল টাইটানিয়ামের ওয়েল্ডিং

টাইটানিয়াম একটি শক্তিশালী ধাতু হওয়া সত্ত্বেও, এর ওয়েল্ডিং অত্যন্ত জটিল বলে মনে করা হয়। মোটা টাইটানিয়াম প্লেট (৮০-১০২ মিমি) জুড়তে একটি অত্যন্ত নির্ভুল এবং সুরক্ষিত ওয়েল্ডিং প্রক্রিয়ার প্রয়োজন। এই কারণেই ইসরোর বিজ্ঞানীরা এই কাজের জন্য ইলেকট্রন বিম ওয়েল্ডিং (Electron Beam Welding - EBW) প্রযুক্তি গ্রহণ করেছেন।

এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য, ইসরোর লিকুইড প্রপালশন সিস্টেম সেন্টার (LPSC), বেঙ্গালুরু তাদের EBW মেশিনের ক্ষমতা ১৫ কিলোওয়াট থেকে বাড়িয়ে ৪০ কিলোওয়াট করেছে। এছাড়াও, তারা ওয়েল্ডিংয়ের পরে গুণমান পরীক্ষার জন্য অ-ধ্বংসাত্মক মূল্যায়ন (Non-Destructive Evaluation - NDE) সিস্টেম তৈরি করেছে।

৭০০টির বেশি ওয়েল্ড ট্রায়ালের পর সাফল্য

LPSC দ্বারা করা ৭০০টির বেশি ওয়েল্ড ট্রায়ালের পরে, বিজ্ঞানীরা কাঙ্ক্ষিত গুণমান এবং স্থায়িত্ব অর্জন করেছেন। এই পরীক্ষাগুলি এটি নিশ্চিত করার জন্য করা হয়েছিল যে সমুদ্রের अत्यधिक গভীরতা এবং চাপে এই টাইটানিয়াম গোলক যেন বিকৃত না হয় এবং তাতে থাকা বিজ্ঞানীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এটি কেবল একটি প্রযুক্তিগত নয়, কৌশলগত অর্জন যা ভারতকে उन गिने-चुने देशों की श्रेणी में खड़ा करती है जिनके पास गहरे समुद्री अन्वेषण की स्वदेशी क्षमता है।

সমুদ্রের গভীরে অনেক সম্পদ রয়েছে যা এখনও পর্যন্ত মূল্যায়ন করা যায়নি। এর মধ্যে নিকেল, কোবাল্ট, রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস-এর মতো ধাতু এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য অন্তর্ভুক্ত। ডিপ ওশান মিশন এই সম্পদগুলির স্থিতিশীল উন্নয়ন এবং সংরক্ষণের জন্য একটি বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রদান করবে। এর সাথে সাথে, এই মিশন জাতীয় সুরক্ষা, শক্তি সম্পদ আবিষ্কার এবং वैज्ञानिक शोध-এর ক্ষেত্রেও बड़ी भूमिका निभा सकता है।

সমুদ্রের ৬,০০০ মিটার গভীরতায় মানব মিশন চালানোর ক্ষমতা বর্তমানে আমেরিকা, রাশিয়া, চীন এবং কিছু ইউরোপীয় দেশেরই আছে। ইসরো এবং NIOT-এর এই যৌথ কৃতিত্ব ভারতকে এই विशिष्ट ক্লাবে যোগ দিতে সাহায্য করছে।

Leave a comment