যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সিসিটিভি সমস্যা: শুক্রবার দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি গেটে মোট ১২টি সিসিটিভি বসানো আছে। ২০২৩ সালের ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার পরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসিটিভি বসানো হয়নি, যার কারণে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। প্রো ভিসি অমিতাভ দত্ত জানিয়েছেন, শূন্যপদে নিরাপত্তারক্ষীর নিয়োগ করা হবে, তবে ক্যামেরা বসানোর কাজ এখনও পুরোপুরি হয়নি।
নির্ধারিত সিসিটিভি ও বাস্তবতা
এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়, যাদবপুর ও সল্টলেক ক্যাম্পাস এবং হস্টেল মিলিয়ে মোট ৭০টি সিসিটিভি বসানো হবে। তবে শুক্রবার দেখা যায়, পাঁচটি গেটে মাত্র ১২টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ৪ নম্বর গেটের কাছে ঝিলের দিকে যাওয়ার রাস্তা ক্যামেরার নজরবন্দির বাইরে ছিল।
নিরাপত্তা ও জনস্বার্থ মামলা
২০২৩ সালের ঘটনার পরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও সিসিটিভি বসানোর কাজ দেরিতে হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যুক্তি দেখান, স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় বৈঠক ডাকতে সমস্যা হয়েছে।
প্রশাসনিক ব্যাখ্যা ও প্রতিশ্রুতি
প্রো ভিসি অমিতাভ দত্ত জানান, শূন্যপদে নিরাপত্তারক্ষীর নিয়োগ করা হবে। এছাড়া, ইসি কমিটির বৈঠক হয় এবং টাস্ক ফোর্স ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার ঘাটতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে ক্যামেরা বসানোর কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।
সিসিটিভি বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (NIRF) অনুযায়ী শীর্ষে থাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বিরোধী মতও ছিল। ২০২৩ সালের ঘটনার পরে কিছু শিক্ষার্থী সিসিটিভি লাগানোর বিরোধিতা করেছিলেন, বক্তব্য ছিল শিক্ষার্থীদের স্বাধীন চিন্তায় বাধা হতে পারে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত সিসিটিভি বসানোর কাজ এখনও শেষ হয়নি। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও মাত্র ১২টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ২০২৩ সালের ঘটনার পরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা অর্ধেক পর্যায়ে রয়েছে। নিরাপত্তা ও সিসিটিভি ঘাটতির কারণে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাই কোর্টে চলছিল।