জন্মাষ্টমীতে দান করুন এই জিনিসগুলি, আসবে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি

জন্মাষ্টমীতে দান করুন এই জিনিসগুলি, আসবে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি

এইবার শ্রী কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ১৫ই অগাস্ট পালিত হবে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে মাখন, মিছরি, শস্য, ফল, বস্ত্র এবং ময়ূরপুচ্ছ দান করা অত্যন্ত পুণ্যদায়ক। এই ধরনের দান জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি এবং ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। ভক্তদের জন্য এটি ভগবান কৃষ্ণের কৃপা লাভের বিশেষ সুযোগ।

নয়াদিল্লি: ১৫ই অগাস্ট ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসবের পবিত্র দিন পালিত হবে। এই উপলক্ষে ভক্তরা উপবাস রাখেন এবং রাত ১২টায় বালকৃষ্ণের জন্মোৎসব পালন করেন। শাস্ত্র অনুসারে, এই দিনে মাখন, মিছরি, শস্য, ফল, বস্ত্র, চরণ পাদুকা এবং ময়ূরপুচ্ছ দান করলে জীবনে সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ভক্তি বাড়ে। দান করলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং পরিবারে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়।

জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব

জন্মাষ্টমী কেবল একটি উৎসব নয়, বরং ভগবান কৃষ্ণের বাল্যলীলা এবং তাঁর জন্মের স্মৃতি বহনকারী একটি পবিত্র দিন। এই দিনে ভক্তরা উপবাস রাখেন, শোভাযাত্রা করেন এবং মধ্যরাতে ১২টায় বাল কৃষ্ণের জন্মোৎসব পালন করেন। শাস্ত্র অনুসারে এই দিনে করা দান বিশেষ ফলদায়ক হয়।

শস্য দান

জন্মাষ্টমীর দিনে শস্য দান অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এটি জীবনের মূল ভিত্তি এবং অভাবীদের দেওয়া শস্য তাদের জীবনে স্থিতিশীলতা এবং সুরক্ষা নিয়ে আসে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, শস্য দান করলে ঘরে সুখ-শান্তি বজায় থাকে এবং পরিবারে সমৃদ্ধি আসে।

মাখন ও মিছরি দান

মাখন ও মিছরি ভগবান কৃষ্ণের বাল্যলীলার প্রতীক। জন্মাষ্টমীতে এটি দান করলে জীবনে মাধুর্য এবং আনন্দ আসে। এই দান পরিবারে প্রেম এবং সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে এবং মনোবাসনা পূরণের সম্ভাবনা তৈরি করে।

ফল ও মিষ্টি দান

গরিব ও অভাবীদের ফল বা মিষ্টি দান করলে ঘরে প্রাচুর্য ও সমৃদ্ধি আসে। এটি শিশু ও বয়স্কদের জন্য আনন্দের কারণ হয় এবং ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করে।

ময়ূরপুচ্ছ দান

ময়ূরপুচ্ছ ভগবান কৃষ্ণের মুকুটের শোভা বর্ধনকারী প্রতীক। এটি দান করলে নেতিবাচক শক্তি এবং কুদৃষ্টি থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়। এই দান আধ্যাত্মিক শুদ্ধতা এবং মানসিক শান্তিও প্রদান করে।

বস্ত্র ও চরণ পাদুকা দান

নতুন বস্ত্র ও চরণ পাদুকা দান করাও পুণ্যের কাজ। শিশুদের বস্ত্র বা পাদুকা দিলে তাদের জীবনে শুভ সূচনা হয়। বস্ত্র দান করলে মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং চরণ পাদুকা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণের সেবার সমান বলে মনে করা হয়।

Leave a comment