গত সোমবার মুর্শিদাবাদের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে, তিনি ব্যক্তিগত মোবাইল ইডি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ছুড়ে ফেলেছেন। ওই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। তবে শনিবার এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আমি মোবাইল ছুড়িনি।
ইডি উপস্থিতি ও ঘটনার প্রেক্ষাপট
ধৃত বিধায়ক বাড়িতে ইডি কর্মকর্তাদের উপস্থিতি দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে খবর আসে। সেই সময়ই মোবাইল ছুড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনা তখন তোলপাড় সৃষ্টি করে এবং রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা ছড়ায়। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, এ ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতিও ঘটতে পারে।
আদালতে হাজিরি ও হেফাজতের মেয়াদ
ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শনিবার জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ফের ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়। এই দিন তিনি সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের কাছে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমি কোনো মোবাইল ছুড়িনি। যা ঘটেছে, তা ভুল বোঝাবুঝি।”
রাজনৈতিক মহলের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার পরে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কিছু পক্ষ বিশ্বাস করছে, অভিযোগগুলি রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার জন্য উত্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করা হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনাটি কেবল ব্যক্তিগত নয়, বরং রাজনৈতিক প্রভাবও ফেলতে পারে।
প্রশাসনিক তদন্ত ও প্রভাব
ইডি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তদন্ত চালিয়েছেন। তদন্তকারীরা মোবাইল ছুড়ে ফেলার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করেছেন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত বিধায়কের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও প্রশ্নোত্তর চালানোর পর ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের সামনে জীবনকৃষ্ণের বক্তব্য
সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকরা জীবনকৃষ্ণকে প্রশ্ন করেন। তিনি পুনরায় নিশ্চিত করেন, মোবাইল ছুড়ার মতো কোনো কাজ করেননি। তার বক্তব্য অনুযায়ী, যা ঘটেছে, তা অতিরঞ্জিত করা হয়েছে এবং সত্যিই কোনও অসদাচরণের ঘটনা ঘটেনি।
ঘটনার সামাজিক প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় ও সামাজিক মাধ্যমেও এই ঘটনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ এবং রাজনৈতিক সমালোচকরা বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছেন। অনেকেই পুলিশের তৎপরতা এবং আদালতের কার্যক্রমের প্রতি নজর রাখছেন। সামাজিক প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যাচ্ছে, ঘটনা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ এবং আলোচনা যথেষ্ট তীব্র।