জিতিয়া উৎসবে মর্মান্তিক ঘটনা: সোন নদী ও কাইমুরের পুকুরে ডুবে ৩ শিশু-তরুণীর মৃত্যু

জিতিয়া উৎসবে মর্মান্তিক ঘটনা: সোন নদী ও কাইমুরের পুকুরে ডুবে ৩ শিশু-তরুণীর মৃত্যু

জিতিয়া উৎসবের ( जितिया पर्व) সময় সোন নদীতে (জেহরাঙ্গাবাদ) এবং কাইমুর জেলার একটি পুকুরে স্নান করার সময় তিন শিশু ও তরুণীর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারগুলিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

জেহরাঙ্গাবাদ: বিহারের জিতিয়া উৎসবের সময় সোন নদীতে স্নান করতে গিয়ে দুই তরুণী—সঙ্গীতা কুমারী এবং মুन्नी কুমারী—ডুবে মারা গেছেন। অন্যদিকে, কাইমুর জেলার করমচট থানা এলাকার ব্রহ্মদেবা পুকুরে ১১ বছর বয়সী খুশি কুমারী স্নান করার সময় ডুবে যায়। উভয় ঘটনা পরিবার এবং গ্রামগুলিতে শোক ছড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এলাকায় সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে।

সোন নদীতে শিশুদের বাঁচাতে গিয়ে দুই তরুণীর মৃত্যু

জেহরাঙ্গাবাদ জেলার নাবি নগর ব্লকের অন্তর্ভুক্ত ধুঁধুয়া গ্রামে রবিবার জিতিয়া উৎসব উপলক্ষে সোন নদীর তীরে স্নানের জন্য অনেকে এসেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, নদীতে স্নান করার সময় একটি শিশুর পা পিছলে যায় এবং সে গভীর জলে ভেসে যেতে থাকে।

ঠিক সেই সময় দুই তরুণী—সঙ্গীতা কুমারী (১৮ বছর) এবং মুन्नी কুমারী (১৮ বছর)—শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য নদীতে ঝাঁপ দেয়। যদিও তারা শিশুটির জীবন বাঁচাতে পেরেছিল, কিন্তু প্রবল স্রোতে নিজেরাই গভীর জলে তলিয়ে যায়। গ্রামবাসীরা অনেক চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

তরুণীদের মৃত্যুতে গ্রামে শোক

সঙ্গীতা এবং মুন্নির মৃতদেহ পুলিশ ও স্থানীয় লোকেরা কয়েক ঘণ্টার কঠিন পরিশ্রমে নদী থেকে উদ্ধার করে। মৃতদেহগুলি বাইরে আসার সাথে সাথে পরিবারের সদস্যদের হৃদয়বিদারক কান্না পুরো গ্রামে শোনা যায়। গ্রামবাসী এবং পরিবারের সদস্যরা গভীর শোকে আচ্ছন্ন।

এনটিপিসি খৈরা থানা পুলিশ এবং প্রশাসনিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কর্মকর্তারা জানান যে ঘটনার সময় নদীর স্রোত অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল এবং স্নান করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি। এই দুর্ঘটনা প্রমাণ করে যে উৎসবের সময় নদীতে স্নানের নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি।

কাইমুরে পুকুরে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু

অন্যদিকে, কাইমুর জেলার রামপুর ব্লকের করমচট থানা এলাকাতেও জিতিয়া উৎসবের সময় এক শিশুর ডুবে মৃত্যু হয়েছে। ভীরীবাঁধ গ্রামের ব্রহ্মদেবা পুকুরে স্নান করার সময় ১১ বছর বয়সী খুশি কুমারী জলে ভেসে যায়। সে মিথিলেশ পান্ডের কন্যা এবং তার চার ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল।

স্থানীয় মহিলাদের সাহায্যে তিন শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হলেও, খুশিকে জল থেকে উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভভুয়া সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই ঘটনা পুরো গ্রামের আনন্দঘন পরিবেশকে শোকের ছায়ায় ঢেকে দিয়েছে।

Leave a comment