যোধপুরে উন্মোচিত হল BAPS স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির: ভক্তি ও স্থাপত্যের এক নতুন দিগন্ত

যোধপুরে উন্মোচিত হল BAPS স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির: ভক্তি ও স্থাপত্যের এক নতুন দিগন্ত

রাজস্থানের যোধপুরে বৃহস্পতিবার বিএপিএস স্বামীনারায়ণ মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে। এই মন্দিরটি রাজস্থানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে অবস্থিত এবং এটিকে ভক্তি, শান্তি ও সাংস্কৃতিক গৌরবের কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

যোধপুর: রাজস্থানের যোধপুরে বিএপিএস স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দিরের জমকালো উদ্বোধন হয়েছে। এই মন্দিরটি ভক্তি, শান্তি ও সাংস্কৃতিক গৌরবের প্রতীক এবং স্বামীনারায়ণ সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা ভগবান স্বামীনারায়ণকে উৎসর্গীকৃত। যোধপুরের এই অক্ষরধাম মন্দিরটি দেশের তৃতীয় এবং বিশ্বের পঞ্চম অক্ষরধাম মন্দির।

৪২ বিঘা এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ ৭ বছরে সম্পূর্ণ হয়েছে এবং এটি তৈরিতে লোহা বা সিমেন্টের কোনো ব্যবহার করা হয়নি। মন্দিরটি সম্পূর্ণরূপে যোধপুর বেলেপাথর দিয়ে নির্মিত এবং এর স্থাপত্য नागर শৈলীতে করা হয়েছে, যা ১০ম থেকে ১৩শ শতাব্দীতে রাজস্থান ও গুজরাটে প্রচলিত ছিল।

কবে হলো মন্দিরের উদ্বোধন?

এই পবিত্র মন্দিরের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার করা হয়েছে। যোধপুরের এই অক্ষরধাম মন্দিরটি শহরের সুরসাগরে অবস্থিত কালিবেড়ি এলাকায় অবস্থিত। এটি বিএপিএস-এর বর্তমান গুরু এবং স্বামী মহারাজের আধ্যাত্মিক উত্তরসূরি মহন্ত স্বামী মহারাজের নির্দেশনায় তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরের উদ্দেশ্য কেবল একটি উপাসনালয় নয়, বরং এমন একটি কেন্দ্র তৈরি করা যেখানে মানুষ আধ্যাত্মিক শান্তি এবং দিব্য দর্শনের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে। যোধপুরের অক্ষরধাম মন্দিরের স্থাপত্য অত্যন্ত জমকালো এবং অসাধারণ।

  • মন্দিরের উচ্চতা ১৯১ ফুট, ১৮১ ফুট এবং ১১১ ফুট।
  • এতে পাঁচটি শিখর, একটি জমকালো গম্বুজ এবং ১৪টি ছোট গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে।
  • মন্দিরে নীলকণ্ঠ অভিষেক মণ্ডপম স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ভগবান স্বামীনারায়ণের নীলকণ্ঠ বর্ণী পঞ্চধাতুর মূর্তি রাখা হয়েছে।
  • মন্দির চত্বরে ১০ বিঘা উদ্যান রয়েছে, যেখানে ৫০০টিরও বেশি গাছ এবং ৫৫০০টি চারা রোপণ করা হয়েছে।

এই জমকালো নির্মাণে ৫০০টিরও বেশি কারিগর অবদান রেখেছেন। মন্দিরের প্রতিটি প্রতিমা, গম্বুজ এবং কারুকার্য অত্যন্ত পরিশ্রম এবং শিল্পের এক অনবদ্য উদাহরণ।

অক্ষরধাম মন্দিরের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব

যোধপুর অক্ষরধাম মন্দির কেবল ভক্তির কেন্দ্র নয়, এটি সংস্কৃতি এবং সামাজিক উত্থানেরও প্রতীক। ভগবান স্বামীনারায়ণ তাঁর জীবনে নৈতিকতা, সেবা এবং সমাজকল্যাণের উপর জোর দিয়েছিলেন। এই অনুপ্রেরণা থেকেই এই মন্দির মানুষকে আধ্যাত্মিক জ্ঞান, শান্তি এবং অনুপ্রেরণা জোগাবে। এটি সমগ্র ভারতে স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দিরগুলির মধ্যে তৃতীয়। 

এর আগে দিল্লিতে এবং দ্বিতীয়টি গুজরাটের গান্ধীনগরে অক্ষরধাম মন্দির নির্মিত হয়েছিল। এখন যোধপুরে নির্মিত এই মন্দিরটি রাজস্থানে ভক্তি ও সংস্কৃতির এক নতুন কেন্দ্র স্থাপন করেছে।

Leave a comment