ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরাখণ্ডে ১২ থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত কেদারনাথ যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। প্রশাসন যাত্রীদের অপ্রয়োজনীয় যাত্রা এড়াতে এবং নদীর ধারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ত্রাণকার্য চলছে।
Kedarnath Yatra Suspended: উত্তরাখণ্ডে এইবার বর্ষা বেশ তাণ্ডব দেখাচ্ছে। একটানা ভারী বৃষ্টির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনেক এলাকায় নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হওয়ার ঘটনা ঘটছে এবং ভূমিধসের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্য সরকার এবং প্রশাসন কেদারনাথ যাত্রা ১২, ১৩ এবং ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। যাত্রী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টির পরিস্থিতি
উত্তরাখণ্ডে এইবার বর্ষা তার পুরো শক্তি দেখিয়েছে। পাহাড়ের ওপর হওয়া মুষলধারে বৃষ্টির কারণে নদী-নালার জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় বৃষ্টির কারণে নদী-নালা উপচে পড়ছে, যার ফলে অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে গেছে। মানুষজন বাড়িঘর ও দোকানের ক্ষতির পাশাপাশি গবাদি পশুদের নিয়েও চিন্তিত। বৃষ্টির কারণে অনেক রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে এবং যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও, মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কারণে ভূমিধস এবং জল জমা হওয়ার মতো বিপর্যয়ও দেখা যাচ্ছে।
আবহাওয়া দফতরের রেড অ্যালার্ট
আবহাওয়া দফতর পুরো প্রদেশে ১২, ১৩ এবং ১৪ আগস্টের জন্য ভারী বৃষ্টির রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। দফতর স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে এই দিনগুলিতে ভারী বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বন্যা, ভূমিধস এবং দুর্যোগের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই কারণে লোকজনকে অপ্রয়োজনে বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে এবং শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতে বলা হয়েছে।
রুদ্রপ্রয়াগ প্রশাসনের পদক্ষেপ
রুদ্রপ্রয়াগের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (DM) প্রতীক জৈন জানিয়েছেন যে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কার কারণে কেদারনাথ যাত্রা আগামী তিন দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন যে যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল।
ডিএম জানিয়েছেন যে আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের মতে এই সময়কালে প্রদেশের অনেক অংশে প্রবল বৃষ্টি হবে। তাই যাত্রা বন্ধ করে সম্ভাব্য বিপদ এড়ানো গেছে।
আপদকালীন ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি
রুদ্রপ্রয়াগ প্রশাসন আপদকালীন ব্যবস্থাপনা বিভাগের নির্দেশ অনুসারে সমস্ত প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। ‘ডেঞ্জার জোন’ অর্থাৎ বিপদজনক এলাকায় ২৪ ঘণ্টা জেসিবি এবং পোকল্যান্ড মেশিন মোতায়েন করা হয়েছে যাতে কোনো দুর্ঘটনা বা রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে দ্রুত ত্রাণকার্য চালানো যায়।
নদীর জলস্তর लगातार নজরে রাখা হচ্ছে। প্রশাসন নদীর ধারে বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও, প্রয়োজন পড়লে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার অভিযান চালানোর জন্য দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
যাত্রীদের জন্য পরামর্শ
যাত্রীদের বিশেষভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে তারা যেন এই সময় কেদারনাথ যাত্রা না করেন। যদি যাত্রা করা অত্যাবশ্যক হয়, তাহলে তারা যেন আবহাওয়ার খবর लगातार নিতে থাকেন এবং প্রশাসনের পরামর্শ মেনে চলেন।
যাত্রীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে তারা যেন তাদের সাথে প্রয়োজনীয় ওষুধ, পর্যাপ্ত জল এবং খাবার জিনিস সাথে রাখেন। যাত্রার সময় সুরক্ষা বিধি কঠোরভাবে মেনে চলুন এবং কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখলে প্রশাসন বা স্থানীয় అధికారుকের সাথে যোগাযোগ করুন।