ডিএ বিলম্বে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা:কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি বছর জানুয়ারি-জুন এবং জুলাই-ডিসেম্বর দুইবার ডিএ সংশোধন করে। সাধারণত জুলাই-ডিসেম্বরের জন্য দ্বিতীয় বর্ধিত ডিএ সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবরের শুরুতে ঘোষণা করা হয়। তবে ২০২৫ সালের জুলাই-ডিসেম্বর মাসের ডিএ এখনও ঘোষণা করা হয়নি, যার ফলে কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও শ্রমিক কনফেডারেশন চিঠিতে উল্লেখ করেছে, ০১-০৭-২০২৫ থেকে কার্যকর হওয়া ডিএ এবং ডিআর কিস্তি এখনও ঘোষণা করা হয়নি। পূর্বে এই আদেশগুলি সেপ্টেম্বরের শেষে প্রকাশিত হতো এবং তিন মাসের বকেয়া বেতন অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পরিশোধ করা হতো। এই বিলম্বে সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।
উৎসবের মরসুমে বোনাসের দাবি
কনফেডারেশন চিঠিতে আরও জানিয়েছে, আসন্ন দুর্গাপুজো এবং দশেরা উৎসবের আগে উৎপাদনশীলতা ভিত্তিক বোনাস (PLB) এবং অ্যাড-হক বোনাস ঘোষণা করা উচিত। তারা চেয়েছে, উৎসবের আগে কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা আর্থিক স্বস্তি পেতে পারেন।বোনাস ও ডিএ বিলম্বের ফলে অনেক সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগী তাদের ব্যক্তিগত আর্থিক পরিকল্পনা ও উৎসবের খরচ সামলাতে সমস্যায় পড়ছেন। কনফেডারেশন মনে করাচ্ছে, উৎসবের আগে এই ঘোষণা দেওয়া হলে কর্মচারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরবে এবং তারা উৎসব উদযাপনে বেশি মনোযোগ দিতে পারবে।
ডিএ গণনা ও কমিশনের প্রভাব
শিল্প শ্রমিকদের জন্য ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI-IW) এর ভিত্তিতে ডিএ নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান গণনার জন্য ২০১৬ সালকে ভিত্তি বছর হিসেবে ধরা হয়েছে। এটি নিশ্চিত করে যে ডিএ বৃদ্ধি মূল্যস্ফীতি অনুযায়ী হবে।অষ্টম বেতন কমিশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও না আসায় কর্মচারীরা হতাশ। জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৫ সালের ডিএ হবে সপ্তম বেতন কমিশনের শেষ বৃদ্ধি, যার মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫। এর ফলে কর্মচারীরা উদ্বিগ্ন, কারণ আগের তুলনায় এবার ব্যবস্থাপনায় বেশি সময় লাগছে।
কর্মচারীদের প্রত্যাশা ও সামাজিক প্রভাব
লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা অধীর আগ্রহে সরকারি ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। উৎসবের মরসুমে বর্ধিত ডিএ ও বোনাস না আসায় তাদের মধ্যে অসন্তোষ ক্রমবর্ধমান। বিশেষত, করোনার পর আর্থিক চাপ ও দৈনন্দিন জীবনের খরচ বৃদ্ধি এই অসন্তোষকে আরও তীব্র করেছে।গ্রামীণ এবং ছোট শহরাঞ্চলের সরকারি কর্মচারীরাও এই বিলম্বকে চিন্তাজনক মনে করছেন। উৎসবের আগে অর্থনৈতিক স্বস্তি না পেলে পরিবারগুলোতে মানসিক চাপ বাড়তে পারে। অনেক কর্মচারী মনে করছেন, এই বিলম্ব শুধুই প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, বরং এটি তাদের জীবনের পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ ও সরকারের দায়িত্ব
কনফেডারেশনের চিঠি প্রকাশের পর আশা করা যাচ্ছে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন শীঘ্রই নির্দেশিকা জারি করবেন। সরকারি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও বর্ধিত ডিএ প্রদান করা হবে।এছাড়া, উৎসবের আগে PLB ও অ্যাড-হক বোনাস ঘোষণার মাধ্যমে সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের আর্থিক স্বস্তি ফিরানো সম্ভব। কনফেডারেশনও সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রক্রিয়ায় তৎপরতা দেখাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও শ্রমিক কনফেডারেশন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি দিয়েছে। তারা দাবি করেছেন, ২০২৫ সালের জুলাই-ডিসেম্বর মাসের মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) এবং উৎপাদনশীলতা ভিত্তিক বোনাস (PLB) উৎসবের আগে জারি করা হোক। বহু কর্মচারী আশা করেছিলেন, সেপ্টেম্বরের বেতনের সঙ্গে বর্ধিত ডিএও পাওয়া যাবে, কিন্তু বিলম্ব তাদের হতাশ করেছে।