খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য উন্নতি, ফেনী থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য উন্নতি, ফেনী থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। বিএনপি ঘোষণা করেছে যে তিনি ফেনী আসন থেকে নির্বাচন করবেন। এখন রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের প্রস্তুতি চলছে।

Bangladesh Election: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এখন তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতির খবর সামনে এসেছে এবং বিএনপি দাবি করেছে যে তিনি আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ফেনী নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রার্থী হবেন। তাঁর ছেলে তারেক রহমানও নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিষয়ক নতুন তথ্য

বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘকাল ধরে প্রভাবশালী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন তথ্য পাওয়া গেছে। বিএনপি (Bangladesh Nationalist Party)-র वरिष्ठ নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু বুধবার জানিয়েছেন যে এখন তাঁর স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভালো। তিনি এখন নির্বাচন করার মতো অবস্থায় আছেন।

খালেদা জিয়া, যিনি বহু বছর ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনির সমস্যা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসের মতো গুরুতর রোগে ভুগছিলেন, তিনি এখন সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে পারেন। তাঁর বয়স ৭৯ বছর, এবং দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্বাস্থ্যগত কারণে রাজনৈতিক কাজকর্ম থেকে দূরে ছিলেন।

নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন খালেদা জিয়া

বিএনপি নেতা মিন্টু বলেছেন যে দলে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং খালেদা জিয়াকে ফেনী নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রার্থী করা হবে। তিনি আরও বলেছেন যে খালেদা জিয়ার অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং তিনি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে প্রস্তুত।

ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিন্টু একটি প্রশাসনিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই মন্তব্য করেছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। যদিও দেশের পরিস্থিতি এবং আদালতের রায়ের উপর এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে।

তারেক রহমানও আশা প্রকাশ করেছেন

খালেদা জিয়ার ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, যিনি বর্তমানে লন্ডনে আছেন, তিনিও বলেছেন যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে এবং আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অনুমতি দিলে, ফেব্রুয়ারি মাসের আগেও নির্বাচন হতে পারে। তিনি বলেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আদালত অনুমতি দিলে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

খালেদা জিয়ার কী কী রোগ ছিল?

জানুয়ারি ২০২৪-এ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তিনি চার মাস ধরে চিকিৎসা করিয়েছেন এবং মে ২০২৪-এ ঢাকায় ফিরেছেন। তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা অনেক বছর ধরে নাজুক ছিল।

লিভার সিরোসিসের পাশাপাশি তিনি কিডনির রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং গেঁটে বাত-এর মতো অনেক জটিল সমস্যায় ভুগছেন। এই সব রোগের কারণে তাঁর জনসমক্ষে উপস্থিতি সীমিত ছিল।

২০১৮ সালে জেলে ছিলেন

খালেদা জিয়াকে ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সালে দুর্নীতির একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করা হয়েছিল। এই মামলাটি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। এর পরে কোভিড মহামারীর সময় ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে শেখ হাসিনা সরকার একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাঁকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়। এই মুক্তির শর্ত ছিল যে তিনি দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না এবং বাড়িতেই থাকবেন।

৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে তাঁকে সম্পূর্ণরূপে মুক্তি দেওয়া হয়। এই মুক্তির পরে খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের পথ প্রশস্ত হয়।

Leave a comment