হিমাচল প্রদেশের কিন্নরের কিন্নর কৈলাস যাত্রা পথে আকস্মিক বন্যায় ৪১৩ জন তীর্থযাত্রী আটকে পড়েছিলেন। ITBP এবং NDRF-এর যৌথ দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে সকলকেই নিরাপদে উদ্ধার করেছে। যাত্রা পথের বড় অংশ ভেসে যাওয়ায় সংকট আরও বেড়ে গিয়েছিল।
Kailash Yatra: হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলায় কিন্নর কৈলাস যাত্রার সময় আকস্মিক বন্যা তীর্থযাত্রীদের সমস্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে তাংলিং অঞ্চলে জলস্তর বিপজ্জনক পর্যায়ে বেড়ে যায়, যার ফলে যাত্রা পথের একটি বড় অংশ ভেসে যায় এবং শত শত পূণ্যার্থী রাস্তায় আটকে পড়েন। সংকটের এই মুহূর্তে ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (ITBP) এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) অসাধারণ নিষ্ঠা ও তৎপরতার পরিচয় দিয়ে এখন পর্যন্ত ৪১৩ জন তীর্থযাত্রীকে নিরাপদে উদ্ধার করেছে।
যাত্রা পথ বিধ্বস্ত, অস্থায়ী সেতুও ভেসে গেছে
আবহাওয়া দফতর থেকে लगातार সতর্কতা জারি করা হচ্ছিল, কিন্তু পাহাড়ে বর্ষার মেজাজ কখন দুর্যোগের রূপ নেয়, তা কেউ জানে না। মঙ্গলবার রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে তাংলিং অঞ্চলে দুটি অস্থায়ী সেতু ভেসে যায়, যার ফলে কিন্নর কৈলাস যাত্রা সম্পূর্ণভাবে बाधित হয়ে যায়। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় উভয় দিকে বহু যাত্রী আটকে পড়েন, যাদের মধ্যে বয়স্ক, মহিলা এবং যুবক পূণ্যার্থীরাও ছিলেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ITBP-কে সতর্ক করে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে ITBP-র ১৭তম ব্যাটালিয়নকে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজের জন্য মোতায়েন করা হয়।
উদ্ধার অভিযান: প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের অপূর্ব সমন্বয়
ITBP-র জওয়ানরা তাদের বিশেষ ট্র্যাভার্স ক্রসিং কৌশল ব্যবহার করে যাত্রীদের এক-এক করে পার করে। এই কৌশলে দড়ি এবং পর্বতারোহণের সরঞ্জাম ব্যবহার করে লোকেদের দ্রুত স্রোতের পার নিরাপদে বার করা হয়। উদ্ধারকারী দলে একজন গেজেটেড অফিসার, চারজন অধীনস্থ আধিকারিক এবং ২৯ জন অন্যান্য জওয়ান ছিলেন। এছাড়াও, NDRF-এর ১৪ সদস্যের একটি দলও এই অভিযানে অংশ নেয়। উভয় দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৪১৩ জন তীর্থযাত্রীকে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
ITBP-র টুইট এবং প্রশাসনের ভূমিকা
ITBP তাদের অফিসিয়াল X (পূর্বে টুইটার) হ্যান্ডেলে এই অভিযানের তথ্য শেয়ার করে জানিয়েছে যে, 'কিন্নর কৈলাস যাত্রা পথে ভারী বৃষ্টির কারণে দুটি অস্থায়ী সেতু ভেসে গেছে, যার ফলে অনেক তীর্থযাত্রী আটকে পড়েছিলেন। ডিসি কিন্নরের অনুরোধে আমাদের টিমকে এসি/জিডি সমীরের নেতৃত্বে বিশেষ সরঞ্জামসহ পাঠানো হয়েছে।' প্রশাসন ITBP-কে সম্ভাব্য সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করেছে এবং উদ্ধার অভিযান দ্রুত করার চেষ্টা করেছে। ডিসি কিন্নর, স্থানীয় পুলিশ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের দলও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এখনও চলছে খোঁজ
বুধবার সকালে প্রশাসন আরও যাত্রীদের আটকে থাকার খবর পায়, এরপর উদ্ধারকারী দল পুনরায় ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়। পাহাড়ি এলাকা এবং খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়েছে, তবে ITBP এবং NDRF-এর দল উৎসর্গীকৃত মনে কাজ করে চলেছে। বর্তমানে উদ্ধার অভিযান চলছে এবং প্রতিটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যাতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।
স্থানীয় लोगों की भी मदद
স্থানীয় গ্রামবাসীরাও এই সঙ্কটকালে প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অনেক স্থানে লোকেরা তাদের নিজস্ব সম্পদ যেমন দড়ি, বাঁশ এবং খাদ্য সরবরাহ করে আটকে পড়া যাত্রীদের সাহায্য করেছেন। গ্রামবাসীদের এই অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে দুর্যোগেও মানবতা বেঁচে থাকে।
তীর্থযাত্রীদের অভিজ্ঞতা
উদ্ধার হওয়া অনেক তীর্থযাত্রী গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় ITBP-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এক महिला তীর্থযাত্রী জানান, 'আমরা সবাই খুব ভয় পেয়েছিলাম। রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ ছিল এবং জলের স্রোত ছিল খুব তীব্র। ITBP-র জওয়ানরা बिना डरे আমাদের এক-এক করে নিরাপদে বের করে আনেন। তাদের সাহস और सेवा अविस्मरणीय है।' आपदा ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বর্ষাকালে इस तरह की घटनाओं की आशंका बनी रहती है। पहाड़ी क्षेत्रों में यात्रा करने से पहले मौसम की जानकारी लेना और प्रशासनिक निर्देशों का पालन करना बेहद जरूरी है।