কোরীয় সীমান্তে উত্তেজনা: দুই দেশের মধ্যে গুলিবর্ষণ, নিরাপত্তা জোরদার

কোরীয় সীমান্তে উত্তেজনা: দুই দেশের মধ্যে গুলিবর্ষণ, নিরাপত্তা জোরদার

দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সীমান্তে গুলিবর্ষণের ঘটনায় উত্তেজনা বৃদ্ধি। উভয় দেশ নিরাপত্তা বাড়িয়েছে এবং সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে। বিশেষজ্ঞরা শান্তিপূর্ণ সংলাপ এবং সংযমের পরামর্শ দিচ্ছেন।

World News: দক্ষিণ কোরিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সীমান্তে আবারও উত্তেজনা বেড়েছে। উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে সীমান্ত অতিক্রম করে ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা বাড়ানোর অভিযোগ করেছে এবং এটিকে গুরুতর উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের কার্যকলাপকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বলছে। উভয় পক্ষই তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে এবং সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে।

উত্তর কোরিয়ার অভিযোগ

নর্থ কোরিয়া পিপলস আর্মির ভাইস চিফ অফ স্টাফ জং চোল বলেছেন যে মঙ্গলবার যখন গুলিবর্ষণ হয়, তখন দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা যৌথ নৌ-মহড়া চালাচ্ছিল। তিনি দাবি করেন যে দক্ষিণ কোরিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং এই পদক্ষেপ দুটি দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার জন্য হুমকি স্বরূপ। জং চোল সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে দুর্গ নির্মাণের প্রকল্পের অজুহাতে তাদের সামরিক কার্যকলাপ বাড়াচ্ছে, যা উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক।

দক্ষিণ কোরিয়ার জবাব

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী স্পষ্ট করেছে যে তারা শুধুমাত্র নিরাপত্তার স্বার্থে গুলি চালিয়েছে। তাদের বক্তব্য হলো, উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা অল্প সময়ের জন্য সীমান্ত রেখা অতিক্রম করেছিল, যে কারণে তাদের তাৎক্ষণিক সতর্কতা দেওয়া জরুরি ছিল। এই সময় কোনো গুরুতর ঘটনা ঘটেনি এবং উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা তৎক্ষণাৎ তাদের এলাকায় ফিরে যায়। দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে যে তাদের উদ্দেশ্য কোনো প্রকার উস্কানি দেওয়া ছিল না, বরং শুধুমাত্র সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছিল।

উত্তর কোরিয়ার প্রস্তুতি

দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানোর পর উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী প্রতিবন্ধক এবং বারুদি মাইন স্থাপন করছে, যাতে যেকোনো ধরনের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ বা উস্কানির দ্রুত জবাব দেওয়া যায়। জং চোল বলেছেন যে এই পদক্ষেপ তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দক্ষিণের সীমান্ত সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো প্রকার উস্কানি থেকে দূরে থাকা উচিত এবং সীমান্তে যেকোনো বিপজ্জনক কার্যকলাপ বন্ধ করা উচিত।

Leave a comment