কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলা: আবারও পিছিয়ে গেল শুনানি, বাড়তে পারে তারকাদের সমস্যা

কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলা: আবারও পিছিয়ে গেল শুনানি, বাড়তে পারে তারকাদের সমস্যা

রাজস্থানের বহুল আলোচিত কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলার শুনানি আবারও পিছিয়ে গেল। যোধপুরে অবস্থিত রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বেঞ্চে এই শুনানি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু চলচ্চিত্র অভিনেতা সালমান খানের আপিল সংক্রান্ত নথি সময় মতো পেশ না হওয়ায় আদালতে শুনানি হতে পারেনি।

Blackbuck Poaching Case: কৃষ্ণসার হরিণ শিকার সংক্রান্ত মামলার শুনানি আবারও পিছিয়ে গেল, তবে এই মামলার সঙ্গে জড়িত জনপ্রিয় বলিউড তারকাদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। রাজস্থান হাইকোর্টের যোধপুর প্রধান বেঞ্চে এই মামলার শুনানি সোমবার হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেশন কোর্ট থেকে সালমান খানের আপিল সংক্রান্ত নথি সময় মতো পেশ না হওয়ায় এই শুনানি স্থগিত করা হয়েছে।

এই মামলায় বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে সাইফ আলি খান, টাবু, সোনালী বেন্দ্রে, নীলম এবং স্থানীয় বাসিন্দা দুষ্যন্ত সিংয়ের নাম প্রধানভাবে উঠে এসেছিল। ট্রায়াল কোর্ট ২০১৮ সালে সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল, जबकि অন্যান্য অভিযুক্তদের প্রমাণের অভাবে খালাস করা হয়েছিল। এখন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজস্থান সরকার সাত বছর পর হাইকোর্টে আপিল করেছে, যার ফলে এই চলচ্চিত্র তারকাদের সমস্যা আবারও বাড়তে পারে।

কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলাটি কী?

কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের মামলাটি ১৯৯৮ সালের, যখন ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন যোধপুরের কাছে কাঙ্কাণী গ্রামে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ বলিউড তারকাদের উপর লেগেছিল। उस সময়ে সালমান খান, সাইফ আলি খান, টাবু, সোনালী বেন্দ্রে এবং নীলম সিনেমার শুটিংয়ের জন্য রাজস্থানে উপস্থিত ছিলেন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ अधिनियम-এর অধীনে কৃষ্ণসার হরিণ একটি संरक्षित প্রজাতি এবং এর শিকার নিষিদ্ধ।

এই মামলায় রাজস্থান পুলিশ এই সকল শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল এবং দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৮ সালে যোধপুরের ট্রায়াল কোর্ট শুধুমাত্র সালমান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে, जबकि বাকি সকলকে সন্দেহের সুবিধা দিয়ে খালাস করে দেওয়া হয়েছিল।

রাজস্থান সরকারের আপিল এবং লিভ টু আপিল আর্জি

রাজস্থান সরকার এখন ট্রায়াল কোর্টের রায়কে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। সরকার সাইফ আলি খান, টাবু, সোনালী বেন্দ্রে, নীলম এবং দুষ্যন্ত সিংকে খালাস করার বিষয়টিকে অনুचित মনে করে তাঁদের খালাস হওয়ার তদন্তের দাবি জানিয়েছে। যদিও আপিল দায়ের করার বৈধ সময়সীমা আগেই শেষ হয়ে গেছে, তাই সরকার লিভ টু আপিল-এর আবেদনও দাখিল করেছে, যেখানে দেরি হওয়ার কারণ দর্শানো হয়েছে। যদি হাইকোর্ট এই আপিলকে বিচারযোগ্য মনে করে, তাহলে এই তারকাদের বিরুদ্ধে পুনরায় মামলা শুরু হতে পারে।

সালমান খান নিজে সেশন আদালত থেকে পাওয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ডকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তিনি তাঁর সাজাকে ভুল প্রমাণ করে আপিল করেছেন, যা বহু বছর ধরে বিচারাধীন। এখন এই মামলাটিও সেই শুনানির অংশ, যা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আইনি ফলাফল কী হতে পারে?

যদি হাইকোর্ট রাজস্থান সরকারের লিভ টু আপিল গ্রহণ করে, তাহলে সাইফ আলি খান, সোনালী বেন্দ্রে, টাবু, নীলম এবং দুষ্যন্ত সিংকে আবারও আদালতে হাজিরা দিতে হতে পারে। এতে শুধু তাঁদের আইনি সমস্যাই বাড়বে না, তাঁদের কেরিয়ারেও প্রভাব পড়তে পারে। উল্লেখযোগ্য যে, এই মামলাটি ভারতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং আইনের নিরপেক্ষতা নিয়ে একটি উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এতে হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের ভূমিকা এটিকে আন্তর্জাতিক স্তরেও আলোচনার কেন্দ্রে রেখেছে।

রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বেঞ্চ, যোধপুর এখন এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে করবে। এই সময় আদালত স্থির করবে যে রাজস্থান সরকারের আপিল গ্রহণ করা হবে কি না। পাশাপাশি সালমান খানের সাজার বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের ওপরও শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a comment