কুশীনগরে একটি গাড়ির সঙ্গে একটি ট্র্যাক্টর-ট্রলির সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং দুইজন গুরুতর আহত। সবাই তীর্থস্থান থেকে ফিরছিলেন। চালকের ঘুম আসার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
UP দুর্ঘটনা: কুশীনগর জেলার পাতেরাওয়া থানা এলাকায় রবিবার দুপুরে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে, যখন একটি দ্রুত গতির গাড়ির সঙ্গে মাটি বোঝাই একটি ট্র্যাক্টর-ট্রলির সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে গাড়ির ক্ষতি হয় এবং সেটিতে থাকা ছয়জনের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাটি তামাকুহিরাজ-এর কাছে বাঘি কুটির কাছে একটি ফোরলেন রাস্তায় ঘটে।
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মাটি ভর্তি ট্র্যাক্টর-ট্রলি ফোরলেনে ব্যাক করা হচ্ছিল। তখনই পেছন থেকে আসা একটি গাড়ি সেটিকে ধাক্কা মারে। গাড়ির গতি বেশি ছিল এবং চালক হঠাৎ ট্রলিটিকে দেখতে পান, ফলে বাঁচার সময় পাননি। সংঘর্ষের পর বিস্ফোরণের মতো শব্দ শুনে আশেপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়।
দু’জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু, হাসপাতালে আরও দু’জনের মৃত্যু
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই দু’জন যাত্রীর মৃত্যু হয়, যেখানে অন্য চারজনকে তামাকুহিরাজ সিএইচসি-তে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার সময় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। গাড়িতে মোট ছয়জন যাত্রী ছিলেন, তাদের মধ্যে কেবল দুইজন গুরুতর আহত এবং তাদের চিকিৎসা চলছে।
মৃতদের পরিচয় এবং পরিবারের অবস্থা
মৃতদের পরিচয় পাওয়া গেছে কৈলাস মণি ত্রিপাঠী (৫০), মনোজ সিং (৪০), রামকরণ গুপ্তা (৫০) এবং সুজিত জয়সওয়াল (৫৫) হিসাবে। তারা সবাই সিদ্ধার্থনগর জেলার কোতোয়ালি কসবার বাসিন্দা ছিলেন এবং বাবা ধাম দর্শনের পর ফিরছিলেন। তাদের বাড়িতে খবর পৌঁছানোর পর শোকের ছায়া নেমে আসে।
এয়ারব্যাগ বাঁচিয়েছিল সামনে বসা দু’জনের জীবন
গাড়ির সামনে বসা দু’জন যাত্রীর জীবন এয়ারব্যাগ খোলার কারণে রক্ষা পায়। চালক সুশান্ত শর্মা (৩৫) এবং তার আত্মীয় রাজেশ শর্মা (৫০) গুরুতর আহত হলেও তারা বেঁচে আছেন। দু’জনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের মতে, দু’জনেই পন্ডিত দীনদয়াল নগর সিদ্ধার্থনগরের বাসিন্দা এবং তারা চাচা-ভাতিজা।
ঘুম দুর্ঘটনাটির কারণ
সিও তামাকুহিরাজ রাকেশ প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে দুর্ঘটনার মূল কারণ হতে পারে ঘুম। চালক জানিয়েছেন যে তারা শনিবার রাত ১০টায় ঝাড়খণ্ড থেকে রওনা দিয়েছিলেন এবং দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে ঘুম চলে আসে, যার ফলে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের উদ্ধারকাজ
ঘটনার পরেই পাতেরাওয়া ও তামাকুহিরাজ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সিও-ও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। স্থানীয় লোকজনও ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি থেকে আহতদের বের করতে পুলিশকে সাহায্য করে।
পুলিশ মৃতের পরিবারকে খবর দিয়েছে। ময়নাতদন্ত এবং অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া চলছে। ট্র্যাক্টর চালকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে ট্রলিটিকে ফোরলেনে ব্যাক করা নিয়মের লঙ্ঘন ছিল কিনা।