এক্স (X) হ্যান্ডেলে বহুবার বিহার=ধর্ষণ-এর মতো পোস্ট করার অভিযোগে প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (পশ্চিম) অঞ্জলি সিনহা বুধবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছেন।
পাটনা: বিহারের রাজনীতিতে আবারও আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মুজাফফরপুরে আরজেডি প্রধান এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবকে তাঁর বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জেরে আদালত থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রথম শ্রেণির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (পশ্চিম), অঞ্জলি সিনহা বুধবার লালু যাদবকে নোটিশ জারি করেছেন এবং তাঁকে নিজের বক্তব্য পেশ করার জন্য বলেছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ২০২৫ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
মামলাটি কী?
বিষয়টি তখন চর্চায় আসে যখন সুধীর কুমার ওঝা, যিনি ভারতীয় সার্থক পার্টির রাজ্য সভাপতি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে মুজাফফরপুর আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে যে লালু যাদব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ বহুবার "বিহার = ধর্ষণ"-এর মতো পোস্ট করেছেন। ওঝার দাবি, লালু যাদব ইচ্ছাকৃতভাবে বিহারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য এই পোস্ট করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে যে, ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে, যখন ওঝা তুরস্কের গোল পোখর চৌকের কাছে ব্যক্তিগত কাজে উপস্থিত ছিলেন, তখন তিনি টিভি চ্যানেলে এই খবরটি দেখেন যে লালু যাদবের পোস্ট বিহারবাসীর জন্য অপমানজনক এবং সমাজে আঘাত হানার মতো। এর মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ বিহারবাসীর অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে এবং রাজ্য সরকারের নিন্দা করা হয়েছে।
আদালতের পদক্ষেপ
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জলি সিনহা মামলার শুনানি করার পর লালু প্রসাদ যাদবকে নোটিশ জারি করেছেন। নোটিশে তাঁকে নিজের বক্তব্য পেশ করার এবং অভিযোগের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত আরও জানিয়েছে যে, মামলার পরবর্তী শুনানি ২০২৫ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়ে লালু যাদব নিজেকে কীভাবে সঠিক প্রমাণ করেন এবং এই মামলায় নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করেন, সেই সুযোগ পাবেন।
এটি প্রথম ঘটনা নয় যখন সুধীর কুমার ওঝা লালু যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে ওঝা রাস্তায় হেলিকপ্টার অবতরণ করার অভিযোগে তাঁকে আদালতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। বিতর্ক ছাড়াও, এটিও লক্ষণীয় যে লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক দুর্নীতি এবং অন্যান্য মামলা চলছে, যার মধ্যে কিছু মামলায় তাঁকে সাজাও দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট বিহারের রাজনীতিতে একটি নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে এবং আসন্ন নির্বাচনেও প্রভাব ফেলতে পারে।