লাতুরের হাদোলতি গ্রামে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সামান্য বিবাদের পর হিংসাত্মক পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকজন আহত হন, পুলিশ সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উত্তেজনা প্রশমিত করে।
লাতুর: মহারাষ্ট্রের লাতুর জেলার হাদোলতি গ্রামে রবিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে একটি সামান্য বিবাদ হিসেবে শুরু হলেও, দ্রুতই এটি হিংসাত্মক রূপ নেয় এবং উভয় পক্ষ একে অপরের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে।
এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন এবং গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসী ও পুলিশের মতে, সংঘর্ষ এত দ্রুত বেড়েছিল যে যেকোনো মুহূর্তে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটা নিশ্চিত মনে হচ্ছিল। ঘটনার খবর পেয়ে আহমদপুর পুলিশের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেল বড় দুর্ঘটনা
ঘটনাস্থলে পৌঁছানো পুলিশ দ্রুত সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের সময়োচিত পদক্ষেপ এবং সতর্কতার কারণে বড় ধরনের ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। পুলিশ গ্রামের সমস্ত রাস্তায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রোধ করা যায়।
স্থানীয় প্রশাসনও গ্রামবাসীদের সংযম বজায় রাখতে এবং যেকোনো ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকার অনুরোধ জানিয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
টাকা নিয়ে সংঘর্ষ
লাতুরের পুলিশ সুপার (এসপি) এর মতে, সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় একজন ট্রাক্টর মালিক এবং তার ড্রাইভারের মধ্যে টাকা নিয়ে বিতর্কের মাধ্যমে। ট্রাক্টরের মালিক গোবিন্দ বার্ডে হিন্দু সম্প্রদায়ের, যখন ড্রাইভার রহমান শেখ মুসলিম সম্প্রদায়ের।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবার সন্ধ্যায় এই বিতর্ক হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং দেখতে দেখতে পাথর নিক্ষেপ ও হিংসাত্মক সংঘর্ষের রূপ নেয়। এসপি বলেন যে এই ঘটনা প্রমাণ করে যে যেকোনো সামান্য বিবাদ নিয়ে সম্প্রদায়গুলির মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে।
সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসা চলছে
এই হিংসাত্মক সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এবং গ্রামবাসীদের তৎপরতার কারণে কোনো গুরুতর প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
প্রশাসন ঘটনার পর গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছে। পুলিশ গ্রামবাসীদের শান্ত থাকতে এবং কোনো ধরনের হিংসাত্মক কার্যকলাপে জড়িত না হতে আবেদন জানিয়েছে। এছাড়াও, আশেপাশের গ্রামগুলিকেও অবহিত করা হয়েছে যাতে সংঘর্ষের প্রভাব সীমিত থাকে।
পুলিশের তদন্ত শুরু
পুলিশ সকল পক্ষের জবানবন্দি রেকর্ড করে মামলার তদন্ত শুরু করেছে। প্রশাসন সতর্ক করে দিয়েছে যে যেকোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক বা হিংসাত্মক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে গ্রামবাসীদের বোঝানো এবং শান্ত করা অগ্রাধিকার পাবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঝগড়া এড়ানো যায়। পুলিশ ও প্রশাসন একটি নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করেছে, যার মধ্যে রাস্তাগুলিতে নজরদারি ও টহল বাড়ানো হবে।