ঠোঁট রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? এই ঘরোয়া উপায়েই ফেরান প্রাকৃতিক আর্দ্রতা

ঠোঁট রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে? এই ঘরোয়া উপায়েই ফেরান প্রাকৃতিক আর্দ্রতা

Lip Care Tips: শীত হোক বা গরম—ঠোঁটের যত্নে অবহেলা করলে তা দ্রুত রুক্ষ ও ফাটা হয়ে যায়। মুখের ত্বকের মতোই ঠোঁটেরও এক্সফোলিয়েশন ও হাইড্রেশনের প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠোঁটে আর্দ্রতা ধরে রাখতে দিনে অন্তত আট গ্লাস জল পান করা জরুরি, পাশাপাশি এসপিএফযুক্ত লিপবাম ও প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করলে ঠোঁটের কোমলতা বজায় থাকে। তবে অতিরিক্ত লিপবাম ব্যবহারে ক্ষতি হতে পারে।

এক্সফোলিয়েশনেই শুরু হোক ঠোঁটের যত্ন

ঠোঁটের মৃত চামড়া সরাতে সপ্তাহে দু’বার স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। সুগার স্ক্রাব বা নরম টুথব্রাশ দিয়ে ঠোঁটে হালকা ঘষে নিন, তারপর হাইড্রেটিং লিপবাম লাগান। এতে ঠোঁটের পুরনো কোষ দূর হয়ে ত্বক হবে মসৃণ ও নরম।

শরীর হাইড্রেট থাকলেই ঠোঁট থাকবে কোমল

শরীরে জলের অভাব ঠোঁটকে দ্রুত শুষ্ক করে দেয়। প্রতিদিন পর্যাপ্ত জলপান, ডিটক্স ওয়াটার, ফলমূল খাওয়া এবং জলসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ ঠোঁটের ভিতরকার আর্দ্রতা বজায় রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাইরে থেকে যত্ন নিলেও ভিতরের হাইড্রেশন না থাকলে ঠোঁটের যত্ন অসম্পূর্ণ।

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে SPF জরুরি

অতিবেগুনি রশ্মি ঠোঁটকে কালো ও শুষ্ক করে দেয়। তাই বাইরে বেরোনোর আগে অন্তত SPF-15 বা তার বেশি মানের লিপবাম ব্যবহার করুন। এতে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ঠোঁট সুরক্ষিত থাকবে এবং রঙও বজায় থাকবে প্রাকৃতিক ভাবে।

রাতের যত্নে হোক ঠোঁটের পুনর্জীবন

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে হাইড্রেটিং বাম, জোজোবা অয়েল বা বাদাম তেল লাগান। এটি ঘুমের সময় ঠোঁটের ভিতরকার স্তরে আর্দ্রতা ধরে রাখে। রাতের পরিচর্যা ঠোঁটকে ভিতর থেকে পুনরুজ্জীবিত করে, ফলে সকালে ঠোঁট থাকবে মসৃণ ও উজ্জ্বল।

অতিরিক্ত লিপবাম ব্যবহারে বাড়ে সমস্যা

যতটা না ঘাটতি, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করে অতিরিক্ত যত্ন। অতিরিক্ত লিপবাম ঠোঁট ভারী ও আঠালো করে দেয়, ফলে প্রাকৃতিক তেল উৎপাদন কমে যায়। তাই পাতলা, হালকা ও হাইড্রেটিং লিপবাম বেছে নিন যা ঠোঁটকে আর্দ্র রাখবে, ভারী নয়।

ঠোঁটের সৌন্দর্য বজায় রাখতে শুধু লিপবাম নয়, দরকার ভিতর থেকে যত্ন। পর্যাপ্ত জলপান, এসপিএফযুক্ত লিপবাম এবং প্রাকৃতিক তেল ব্যবহারেই ঠোঁট হবে নরম ও আর্দ্র। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠোঁটের এক্সফোলিয়েশন ও সঠিক হাইড্রেশনই ঠোঁটকে রাখবে ‘কমলালেবুর কোয়া’-র মতো কোমল।

 

Leave a comment