লখনউতে সকালে একটি স্কুল ভ্যান এবং দ্রুত গতিতে আসা ফরচুনার গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন শিশু সামান্য আহত হয়েছে। শিশুদের হাসপাতালে চিকিৎসার পর নিরাপদে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লখনউয়ের মহানগরে শুক্রবার সকালে একটি স্কুল ভ্যান এবং ফরচুনার গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই দুর্ঘটনায় ভ্যানে থাকা শিশুরা সামান্য আঘাত পেয়েছে। কারোর গুরুতর আঘাত লাগেনি, তবে স্কুল ভ্যানের সামনের অংশ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফরচুনার গাড়িটিরও সামনে এবং পেছনের দিকে ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।
নীরা নার্সিং হোমের কাছে দুর্ঘটনা
এই দুর্ঘটনা মহানগরের নীরা নার্সিং হোমের কাছে সকাল প্রায় ৭টায় ঘটে। মাউন্ট কার্মেল কলেজের ছাত্ররা ভ্যানে করে স্কুলে যাচ্ছিল, তখনই সামনে থেকে দ্রুত গতিতে একটি ফরচুনার গাড়ি এসে ভ্যানের পাশ থেকে ধাক্কা মারে। ধাক্কার কারণে স্কুল ভ্যানটি হঠাৎ অন্য দিকে ঘুরে যায় এবং তার সামনের অংশ পুরোপুরি পিষে যায়। ঘটনার সময় ভ্যানে সাতজন শিশু ছিল।
স্কুল ভ্যান এবং ফরচুনার গাড়ি উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ভ্যানের সামনের অংশ এবং কাঁচ ভেঙে গেছে। অন্যদিকে নতুন ফরচুনার গাড়িটির সামনের এবং পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুর্ঘটনায় শিশু ও চালকের অবস্থা
দুর্ঘটনায় ৩-৪ জন শিশু এবং চালক সামান্য আহত হয়েছেন। আহতদের দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর সকল শিশুদের নিরাপদে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন যে সবার আঘাত সামান্য এবং কারোর গুরুতর বিপদ নেই।
স্কুল ভ্যানের মালিক মান সিং জানিয়েছেন যে চালক সময়মতো ব্রেক কষেন, যার ফলে শিশুদের গুরুতর আঘাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেছেন যে দুর্ঘটনায় ভ্যানের সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং চালকের সতর্কতাই একটি বড় দুর্ঘটনা এড়াতে সাহায্য করেছে।
পুলিশের তদন্ত শুরু
দুর্ঘটনার পর পুলিশ ফরচুনার চালককে আটক করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জানানো হয়েছে যে ফরচুনার চালকও তার সন্তানদের স্কুলে ছাড়তে যাচ্ছিলেন। তিনি দু'দিন আগেই নতুন গাড়ি কিনেছিলেন এবং গাড়ির নম্বর প্লেটও এখনও লাগানো হয়নি। ধাক্কার পর ফরচুনার গাড়িটি সামনের একটি খুঁটিতে ধাক্কা খায় এবং গাড়ির সামনের অংশ খুঁটির উপর আটকে থাকে।
মহানগর পুলিশ জানিয়েছে যে ঘটনার তদন্ত চলছে এবং উভয় গাড়ির মালিকের কাছ থেকে সম্পূর্ণ তথ্য নেওয়া হচ্ছে। আশেপাশের নাগরিক এবং অভিভাবকরা দুর্ঘটনার পর রাস্তার সুরক্ষার অভাব নিয়ে চিন্তিত।