Madhyamik Examination: ২০২৬ সালের মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষাকে সামনে রেখে স্কুলে স্কুলে পাঠানো হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা। পর্ষদ স্পষ্ট জানিয়েছে— প্রশ্নপত্রে কোনও সিলেবাস-বহির্ভূত বা বিতর্কিত প্রশ্ন থাকলে তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষের। এই নির্দেশে বলা হয়েছে, টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রস্তুতি থেকে ছাপানোর যাবতীয় কাজ স্কুলের নিজস্ব শিক্ষক ও প্রশাসনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। ফলে রাজ্যের শিক্ষা মহলে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিতর্কিত প্রশ্নে এবার দায় প্রধান শিক্ষকের
পর্ষদ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, যদি কোনও টেস্ট প্রশ্নপত্রে বিতর্কিত বা সিলেবাস-বহির্ভূত প্রশ্ন ধরা পড়ে, তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকা।কলকাতার এক প্রধান শিক্ষক জানান, “প্রশ্ন করার দায়িত্ব বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের হলেও, প্রতিটি প্রশ্নপত্র ছাপানোর আগে প্রধান শিক্ষককে তা পরীক্ষা করতে বলা হচ্ছে। এতে গোপনীয়তা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।”
স্কুলগুলিকে স্পষ্ট বার্তা: প্রশ্ন করবে নিজস্ব শিক্ষকরা
পর্ষদ জানিয়েছে, প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র তৈরি করবেন স্কুলের নিজস্ব বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকরা। কোনও সংগঠন বা এজেন্সির কাছ থেকে প্রশ্ন কেনা যাবে না।পর্ষদের মতে, এটি করা হচ্ছে যাতে পরীক্ষার মান বজায় থাকে এবং ভবিষ্যতে কোনও রকম বিভ্রান্তি বা অসঙ্গতি না দেখা দেয়।
টেস্ট প্রশ্ন পাঠাতে হবে পর্ষদে
নির্দেশিকা অনুযায়ী, পরীক্ষার শেষে প্রতিটি স্কুলকে তাদের টেস্ট প্রশ্নপত্র নির্দিষ্ট ই-মেলের মাধ্যমে পর্ষদ অফিসে পাঠাতে হবে।এক পর্ষদ কর্তা জানান, “কোনও স্কুল এই নিয়ম না মানলে কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।৩ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষক সংগঠনগুলির প্রতিক্রিয়া
শিক্ষকদের একাংশের মতে, এই নির্দেশে যেমন দায়িত্ববোধ বাড়বে, তেমনি প্রধান শিক্ষকদের উপর চাপও বৃদ্ধি পাবে।যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক এড়াতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বোর্ডের এই পদক্ষেপ সঠিক, তবে বাস্তব প্রয়োগে ভারসাম্য দরকার।”অন্যদিকে কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্সের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস জানান, “প্রশ্ন তৈরি থেকে ছাপানো পর্যন্ত সবকিছু অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে থাকা উচিত। তবে ভুল হলে প্রধান শিক্ষকের দায় অস্বীকার করা যায় না।
২০২৬ সালের মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষার আগে স্কুলগুলিকে সতর্ক করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। কোনও সিলেবাস-বহির্ভূত বা বিতর্কিত প্রশ্ন হলে তার দায় নেবে সংশ্লিষ্ট স্কুলই। প্রশ্নপত্র তৈরির ক্ষেত্রে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্ষদের এই নয়া নির্দেশ ঘিরে রাজ্যের শিক্ষামহলে শুরু হয়েছে আলোচনা।