কৃষককে অপমান করার অভিযোগে বিদ্ধ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে

কৃষককে অপমান করার অভিযোগে বিদ্ধ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে

কর্নাটকের গুলবর্গা জেলায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং এক কৃষকের কথোপকথনের ভিডিও ভাইরাল। বিজেপি খাড়গের বিরুদ্ধে কৃষককে অপমান করার অভিযোগ এনেছে। ভিডিওতে খাড়গেকে বলতে শোনা যাচ্ছে, আমার ক্ষতি তোমার চেয়ে বেশি।

রাজনীতির খবর: কর্নাটকের বন্যা-বিধ্বস্ত গুলবর্গা জেলায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং এক কৃষকের মধ্যে কথোপকথনের একটি ভিডিও সামনে আসার পর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ভিডিওর ভিত্তিতে বিজেপি খাড়গের বিরুদ্ধে কৃষককে অপমান করার অভিযোগ এনেছে।

কী ঘটেছে

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মল্লিকার্জুন খাড়গে কৃষককে জিজ্ঞাসা করছেন যে তিনি কত একর জমিতে চাষ করেছেন। কৃষক উত্তর দেন, চার একর। এরপর খাড়গে বলেন, "আমার ৪০ একর। আমার অবস্থা তোমার চেয়েও খারাপ। তুমি এসে আমাকে বলছ। তুমি আমাকে বলতে পারো, কিন্তু আমার অবস্থা তোমার চেয়েও খারাপ।"

খাড়গে আরও বলেন, "প্রচারের জন্য এখানে এসো না। আমি এই ব্যাপারে জানি। মুগ, বিউল এবং অড়হর, সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। তুমি অন্তত এটা সহ্য করতে পারবে। আমরা এটা সহ্য করতে পারব না কারণ আমার ক্ষতি অনেক বেশি। যাও মোদী এবং শাহকে জিজ্ঞাসা করো।"

বিজেপি কী বলেছে

ভিডিওটি সামনে আসার পর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কংগ্রেস এবং মল্লিকার্জুন খাড়গের সমালোচনা তীব্র করেছে। বিজেপি মুখপাত্র প্রদীপ ভান্ডারি বলেছেন যে কংগ্রেস কৃষকদের অপমান করছে। তিনি লিখেছেন, "যে কৃষক খাড়গের কাছে গিয়েছিলেন, তাদের চলে যেতে বলা হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল - আমার কাছে প্রচারের জন্য আসা বন্ধ করো। কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধী কেন আমাদের কৃষকদের এত ঘৃণা করে?"

রাজনৈতিক বিতর্ক বাড়ল

এই ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিজেপি এটিকে কৃষকদের প্রতি কংগ্রেসের সহানুভূতির অভাব বলে অভিহিত করেছে। এদিকে, এই বিষয়ে কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

কৃষকদের অবস্থা

গুলবর্গা জেলার বন্যা-বিধ্বস্ত অঞ্চলে কৃষকদের ফসল বিপুল পরিমাণে নষ্ট হয়ে গেছে। মুগ, বিউল এবং অড়হর-এর মতো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের সামনে আর্থিক সংকটের পরিস্থিতি এবং তাদের ক্ষতি অনেক বেশি।

মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া

ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়া এবং মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দ্রুত ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকে এটিকে কংগ্রেসের নীতি এবং নেতাদের সহানুভূতির পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক চলছে।

Leave a comment